বেআইনি অর্থ লেনদেনে যুক্ত ছিল এইচএসবিসি, ডয়চে ব্যাঙ্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০বিশ্ব জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে ফিনসেন ফাইল। প্রায় আড়াই হাজার পাতার এই ফাইলের তথ্য বলছে, বিশ্বের একাধিক বড় ব্যাঙ্ক জেনেশুনে মানি লন্ডারিং বা বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জার্মানির ডয়চে ব্যাঙ্ক থেকে হংকং সাংহাই ব্যাঙ্ক-- সকলেই এই বেআইনি কাজ করেছে।
পানামা পেপারের ঘটনা এক সময় সাড়া ফেলে দিয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। এ বার প্রায় সেই একই রকম সাড়া ফেলেছে ফিনসেন ফাইল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সমস্ত ব্যাঙ্ককে দেখতে হয় তাদের ক্রেতারা যে অর্থ ব্যাঙ্কে রাখছেন বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অন্য কোথাও পাঠাচ্ছেন, তার উৎস কী? অর্থাৎ, যে অর্থ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে, তা বৈধ কি না।
ফিনসেন ফাইলের তথ্য বলছে, ডয়চে ব্যাঙ্ক, এইচএসবিসি-র মতো ব্যাঙ্কগুলি জানতো, তাদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বেআইনি অর্থ, বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। তা সত্ত্বেও তারা তা পাচার হতে সাহায্য করেছে। মূলত পঞ্জি স্কিমের অর্থ এ ভাবে পাচার হয়েছে। লন্ডন থেকে অ্যামেরিকা বিশ্বের বহু উন্নত দেশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তিও এর সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক থেকেই প্রায় দুই ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ডয়চে ব্যাঙ্ক থেকে পাচার হয়েছে এক ট্রিলিয়ান ডলার। পঞ্জি স্কিমের টাকা এ ভাবে নয়ছয় হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরে অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তো বটেই, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনায় অ্যামেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)