1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিয়ে টিঁকিয়ে রাখতে পারছেন না বার্লুসকোনি

১০ মে ২০১০

শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টিঁকিয়ে রাখতে পারছেন না ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি৷ স্ত্রী ভেরোনিকা লারিওর সঙ্গে তালাক নিয়ে একটা রফা করতে শুরু করলেন ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ৷

https://p.dw.com/p/NK46
যখন একসাথে ছিলেন বার্লুসকোনি আর লারিওছবি: AP

অবশ্য গত বছরের মে মাসেই স্ত্রী ভেরোনিকা বার্লুসকোনিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনেক হয়েছে আর নয়, এবার বিচ্ছেদ৷ স্ত্রীর দাবি, এই বুড়ো বয়সে এসে ভিমরতিতে ধরেছে বার্লুসকোনির৷ কম বয়সী মেয়েদের নিয়ে তাঁর বাড়তি আগ্রহ কোনভাবেই সহ্য করতে পারেননি ভেরোনিকা লারিও৷ উল্লেখ্য, ইটালির সংবাদপত্রগুলোর রসালো খবর ছিল, ইটালির এই ধনকুবের প্রধানমন্ত্রীর নেপলসের ১৭ বছর বয়সী এক মডেলের জন্মদিনে যোগদান এবং তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক৷ বার্লুসকোনি অবশ্য কোন ধরণের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন৷ কিন্তু সে আলোচনা থামেনি, বরং তাতে ঘি ঢালে এক কলগার্ল৷ তার দাবি ছিল বার্লুসকোনি তার সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন৷ এটাও অস্বীকার করেন তিনি৷ কিন্তু স্ত্রী ভেরোনিকা লারিও আর মেনে নিতে পারেননি৷

Noemi Letizia
সুন্দরী তন্বী মডেল নোয়েমি লেতিজ্জিয়া, যার জন্মদিনে গিয়েছিলেন বার্লুসকোনিছবি: AP

ইটালির সংবাদপত্রগুলোর খবর, তালাকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শনিবার মিলানের একটি আদালতে দুই জনের একটি বৈঠক হয়েছে৷ তাতে উপস্থিত ছিলেন উভয়ের আইনজীবী৷ উল্লেখ্য, ইটালির সবচেয়ে ধনীদের তালিকায় বার্লুসকোনির নাম দ্বিতীয় স্থানে৷ তাই তালাকের পর ভরণপোষণ নিয়ে চলছে দর কষাকষি৷ স্ত্রী ভেরোনিকা লারিওর দাবি, খোরপোষ বাবদ তাঁকে প্রতি মাসে সাড়ে তিন মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে৷ বার্লুসকোনি তিন লাখের বেশি দিতে রাজি নন৷ তবে জানা গেছে, লারিও তাঁর দাবি কিছুটা কমাতে রাজি হয়েছেন মিলানের বিলাসবহুল ভিলার বিনিময়ে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়