1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিয়ে করতে সমকামী যুগলদের মামলা

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আসছে ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করার অধিকার আদায়ে আদালতে মামলা করতে যাচ্ছে জাপানের সমকামী ১৩ যুগল৷ জাপানে ১৮৮০ সাল থেকেই সমকামে আইনত কোনো বাধা নেই৷

https://p.dw.com/p/3D0Y6
ছবি: Reuters

শুধু রাজধানী টোকিওতে নয়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারিতে কমপক্ষে চারটি শহরের আদালতে মামলা হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইয়োশি ইয়োকোইয়ামা নামের এক আইনজীবী৷

‘‘সংবিধান আপনাকে সুখী থাকবার অধিকার দিয়েছে, সমঅধিকার দিয়েছে,'' থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন ঐ আইনজীবী৷ তিনি আবেদনকারীদের পক্ষে লড়ছেন৷ ‘‘সমকামীদের বিয়ের অধিকার না দিয়ে আপনি তা লঙ্ঘন করছেন৷''

জাপান এলজিবিটি'দের ব্যাপারে এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সহনশীল৷ তবে খোলামেলাভাবে সমকামী দাবি করার ব্যাপারে এখনো সমাজে ট্যাবু রয়ে গেছে৷

এই মনোভাবে পরিবর্তন আনতে এক যুগল ২৫টি দেশে যেখানে সমকামী বিয়ে বৈধ সেখানে তাদের বিয়ের ছবি প্রদর্শনী করার কথা ভাবছেন৷ তবে বিয়ে অবৈধ হলেও দেশটির অনেক শহরে যুগলরা এমন সনদ তুলতে পারেন, যা তাদের যে কোনো বিবাহিত যুগলের সমস্ত সুবিধা পেতে সাহায্য করে, যেমন, বাসা ভাড়া করা কিংবা হাসপাতালে দেখতে যাওয়া ইত্যাদি৷

যে ১৩ যুগল মামলা করতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে আই নাকাজিমা-ক্রিস্টিনা বাউমান যুগলও আছেন৷ বাউমান জার্মান নাগরিক৷ তিনি জাপানে পড়াশোনা করছেন৷ নাকাজিমা ভয় পাচ্ছেন যে, পড়া শেষ হলে বাউমানকে জার্মানি চলে যেতে হতে পারে৷ একমাত্র বিয়ে হলেই তিনি সঙ্গীর জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন৷

‘‘অনেক জাপানি-বিদেশি যুগল আছেন৷ যেহেতু তাদের সম্পর্কের আইনগত সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই চাইলেও জাপানে থাকতে পারছেন না তারা'' বলেন নাকাজিমা৷

আউটরাইট অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি এলজিবিটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপের আঞ্চলিক প্রকল্প সমন্বয়ক জিং ক্রিস্টোবাল মনে করেন, জাপান এশিয়ায় উদাহরণ তৈরি করতে পারে৷

‘‘থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের মতো জাপানেরও সুযোগ রয়েছে, সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা এশিয়ার প্রথম দিককার দেশগুলোর একটি হওয়ার,''  ইমেইলে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করেন তিনি৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)