1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিষাদ কাটাবে চিকিৎসক

ব্রিগিটে ওস্টেরাথ/এসিবি২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

রোগী যেন গবেষণাগারের গিনিপিগ৷ চিকিৎসক কখনো ওষুধ দেন, কখনো আবার পরামর্শ৷ অথচ কারো কারো একটাতেই কাজ চলে৷ কিন্তু কার কোনটা দরকার সেটা বোঝার উপায় কী? এ নিয়ে এতদিনের সংশয় বোধহয় দূর হতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/19aBj
ছবি: Fotolia/Jochen Schönfeld

যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৬৭ জন বিষাদগ্রস্তকে নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন৷ ৬৭ জনের মধ্যে ৪০ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে তাঁরা দেখেছেন, তাঁদের জন্য ওষুধ লাগবে, নাকি মনশ্চিকিৎসক অথবা মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শই কার্যকর হবে – সেটা আগেই বলে দেয়া সম্ভব৷ আসলে ইনসুলার কর্টেক্স বা ইনসুলাই বলে দেয় কার জন্য কোন চিকিৎসাটা কার্যকর৷

কানের ঠিক ওপরে থাকে ইনসুলা৷ গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের ইনসুলায় গ্লুকোজ বেশি, তাঁদের কোনো ওষুধ না খেয়ে, শুধু মনশ্চিকিৎসা নিলেই চলে৷ তবে ইনসুলা বেশি সক্রিয় নয় বলে গ্লুকোজ যাঁদের কম থাকে, তাঁদের ওষুধ খাওয়া ছাড়া গতি নেই৷ গবেষকরা অবশ্য দাবি করছেন না যে, এক্ষুনি চূড়ান্ত কথা বলার সময় এসে গেছে৷ তাঁরাও মনে করেন, বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে৷

তবে শেষ পর্যন্ত যদি তাঁদের অনুমান সত্যি হয়, তাহলে যে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের উপকার হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ জীবনে আনন্দের মতো বিষাদ কার জীবনে না আসে! বিষাদের মাত্রা বেশি হলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অনেকে৷ সে অবস্থায় কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেন৷ সেই পর্যায়ে যাবার আগেই দরকার সুচিকিৎসা৷ কিন্তু সুচিকিৎসা কোথায় আছে?

জার্মানির বন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মনশ্চিকিৎসক ভল্ফগাং মায়ার জানালেন, বিষাদগ্রস্থ রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা৷ তাঁর মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী কোনো মনশ্চিকিৎসক অথবা মনস্তাত্ত্বিকের কাছে গেলে তিনি মনশ্চিকিৎসাই চালিয়ে যান৷ ওষুধের দরকার আছে কিনা তা খুব কমই ভেবে দেখেন৷ আবার সাধারণ ডাক্তারদের কাছে গেলে তাঁরা শুধু ওষুধ দিয়েই ক্ষান্ত, রোগীর মানসিকতায় পরিবর্তন আনার বিকল্প রাস্তাটিতে রোগীকে তাঁরা পাঠান না৷ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটলান্টার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবনটি যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষাদগ্রস্থরা এই বিপদ থেকে রেহাই তো পাবেনই!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য