1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব নিরাপত্তা নিয়ে মিউনিখে নেতাদের আলোচনা

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সেখানে অ্যামেরিকা ও চীনের নেতারা আবার সংলাপের সুযোগ পাচ্ছেন৷ রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷

https://p.dw.com/p/4NdED
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের লোগো৷
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রায় ২০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রাশিয়ার নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ ছবি: Tobias Hase/dpa/picture alliance

শীতল যুদ্ধ অবসানের পর ইউরোপ ও অ্যামেরিকার নিরাপত্তা কাঠামো মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল৷ কিন্তু বিনা প্ররোচনায় রাশিয়া প্রায় এক বছর আগে যেভাবে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তার ফলে সেই মৌলিক নিশ্চয়তা বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে চলতি বছরে জার্মানির মিউনিখ শহরে বাৎসরিক নিরাপত্তা সম্মেলন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির ভিডিও ভাষণ দিয়ে সম্মেলন শুরু হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এবারের সম্মেলনের মূল বিষয় ইউক্রেন৷ সম্মেলনের প্রায় ২০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রাশিয়ার নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি৷ সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রাক্তন নিরাপত্তা নীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা ক্রিস্টফ হয়েসগেন এই প্রথম সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন৷ তিনি বলেন, রাশিয়া যাতে এই সম্মেলনকে প্রচারনার মঞ্চ হিসেবে অপব্যবহার করতে না পারে, সে কারণে সে দেশের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি৷ হয়েসগেন বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ‘সভ্যতা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন'৷ ইরানের নেতৃত্ব ও জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলকেও মিউনিখ সম্মেলন থেকে দূরে রাখা হচ্ছে৷

২০২৩ সালের মিউনিখ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস উপস্থিত থাকছেন৷ সন্দেহভাজন গোয়েন্দা বেলুন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তাঁদের সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং সেনেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন৷

ইউরোপের দোরগড়ায় চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মহাদেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামো আরও জোরালো করার বিষয়টি এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে৷ এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ বর্তমানে জো বাইডেনর প্রশাসন ইউক্রেন তথা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিলেও ভবিষ্যতে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ঘটলে বা তাঁর মতো কোনো নেতা ওয়াশিংটনে ক্ষমতাকেন্দ্রে এলে ইউরোপ একই রকম সংহতির প্রত্যাশা করতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ ফলে ইউরোপের দেশগুলির উপর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় আরও বাড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয় সম্পর্কেও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বকে৷

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা বিশ্ব আরও একটি কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হচ্ছে৷ ইউরোপ ও অ্যামেরিকা পুটিনের রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলেও এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার নেতারা সেই পথে চলতে নারাজ৷ বিশ্বের এই সব অঞ্চলে রাশিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব জোরালো হওয়ায় অনেক দেশ পশ্চিমা বিশ্বের পাশে দাঁড়াতে নারাজ৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)