বিশ্বের বৃহত্তম বইটি প্রদর্শিত হলো ফ্রাঙ্কফুর্টে
১২ অক্টোবর ২০১০৬ ফুট বাই ৯ ফুট – এই হলো বইটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থের পরিমাপ৷ তার ওপর বইটিতে পৃষ্ঠার সংখ্যা মোট ১২৮৷ বুঝতেই পারছেন, এহেন এক আকৃতির কারণে বইটি মেলায় প্রদর্শনের সময় কতোটা হিমশিম খেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে ‘মিলেনিয়াম হাউস' নামের সেই প্রকাশনা সংস্থার প্রধান গর্ডন চিয়ার্সকে বলতেই হলো যে, এটাকে তার জায়গায় ঠিকঠাক বসাতে তাঁদের প্রায় ঘন্টা তিনেক সময় লেগেছে৷
বইমেলায় প্রদর্শনের জন্য প্রথম আটটি পাতার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে বলেও জানালেন গর্ডন চিয়ার্স৷ তার কারণ অবশ্য একটাই৷ বই পড়ুয়া হাজারো মানুষের সংস্পর্শে এসে বইটা যেন নোংরা না হয়ে যায়৷ আর তাছাড়া পরবর্তীকালে আর্কাইভ করার জন্য মোটা কাগজ দিয়ে তৈরি করায়, বইটা শুধু যে মস্ত বড় – তাই নয়, বেশ ভারীও বটে৷ প্রায় ১২০ কিলোগ্রাম৷ তাই যে সমস্ত দর্শনার্থীরা বইটার পাতা উল্টে দেখার চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের খানিকটা বেগ পেতেও হচ্ছিল৷ তবে এতো বড় একটা বই উল্টে-পাল্টে পড়ে দেখার মজাটা যে একটু ভিন্ন হবে – তা তো বলাই বাহুল্য৷
কিন্তু, কেন এহেন এক বিশাকৃতির বই সৃষ্টি করা ? গর্ডন চিয়ার্স জানালেন, ১৬৬০ সালে, মানে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, শেষ বারের মতো এমনই এক বিশাল আকারের বই উপহার দেওয়া হয় রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে৷ সে কথা এখন ইতিহাস৷ তাই আজ, পেরুর মাচু-পিচু পর্বতের মতো পৃথিবীর নানা আকর্ষণ দিয়ে সাজানো এই মানচিত্র প্রকাশ করে আবারো ইতিহাস গড়তে চান ‘মিলেনিয়াম হাউস'এর প্রধান গর্ডন চিয়ার্স৷ তাঁর বিশ্বাস, ইতিহাসে একদিন তাঁর এই বইটিও স্থান পাবে৷ আর তাই তো, এটাকে শক্ত-পোক্ত করে তৈরি করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি৷
প্রকাশনা সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আর কয়েকদিনের মধ্যে মাত্র ৩১টি কপি ছাড়া হবে বাজারে৷ আর দাম ? বিশ্বের বৃহত্তম বই হিসেবে এক-একটি কপির দাম ধার্য করা হয়েছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার৷ এবার দেখা যাক, কোন কোন দেশের গ্রন্থাগারে জায়গা করে নেয় বিশ্বের সর্ব বৃহৎ এই বইটি৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক