বিশ্বকাপ ক্রিকেট জার্মানিতেও নজর কাড়ছে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের একটা চিত্র তুলে ধরেছে দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং৷ সেখানে প্রায় সবাই স্বঘোষিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ৷ যেমন দিল্লির এক সাধারণ নাপিত লেখকের কাছে পূর্ববাণী করেছেন, যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে পৌঁছবে৷ শুধু তাই নয়, কাজের ফাঁকে ক্রিকেট নিয়ে তার যে উৎসাহ, তা গোটা উপমহাদেশেই বিরল নয়৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা অঞ্চল জুড়ে যেন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সর্বত্র ক্রিকেট-জ্বরে ভুগছে মানুষ৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত গতবারের বিশ্বকাপের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় যে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে, তার তুলনা হয় না৷ সমস্যা একমাত্র ভিখারিদের নিয়ে৷ ভাবমূর্তির দোহাই দিয়ে তাদের পথঘাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মানুষ এই প্রতিযোগিতা যেভাবে উপভোগ করছেন, তা থেকে এবার বঞ্চিত আরেক ক্রিকেট-পাগল দেশ পাকিস্তান৷ নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তারা এই আনন্দের ভাগীদার হতে পারে নি৷
দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেট জগতের সঙ্গে অপরাধ চক্রের যোগাযোগ সম্পর্কে জার্মান পাঠকদের একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং৷ সম্ভবত পাকিস্তানে আত্মগোপন করে থাকা মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভয়ঙ্কর কার্যকলাপের একটা খতিয়ান তুলে ধরে প্রতিবেদনের লেখক বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ক্রিকেটের কালো দিকটি তুলে ধরেছেন৷ লিখেছেন, ক্রিকেটকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনার পাশাপাশি বাজিকরদের হস্তক্ষেপ ও ম্যাচ-ফিক্সিং'এর মতো ঘটনাও ঘটে, যার পেছনে কাজ করে দাউদ ইব্রাহিমের মতো অপরাধচক্র৷ কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলে ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট জগতের সাম্প্রতিক সংকটের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে৷ সম্প্রতি তিন ক্রিকেটারের শাস্তির ঘটনা সত্ত্বেও সমস্যার মূলে এখনো আঘাত হানা হয় নি৷ ক্রিকেট থেকে শুধু অর্থ উপার্জন নয়, ক্রিকেটকে সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যবস্তু করতেও পিছপা হয় না অপরাধচক্র, যেমনটা ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল৷ অপরাধ জগতের গ্রাস থেকে ক্রিকেটকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংগঠনের উপর চাপ বাড়ছে৷ তারা কিছু পদক্ষেপও নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস