বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক
বিশ্বকাপ শুধু গোল স্কোরারদের নয়, গোলরক্ষকদেরও৷ এবারের বিশ্বকাপেও এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে কেবল গোলরক্ষকদের নৈপুণ্যে৷ ছবিঘরে দেখুন এবারের সেরা সীমান্তের পাহারাদারদের৷
ওচোয়া (মেক্সিকো)
মেক্সিকোর গিলিয়ের্মো ওচোয়া এখনো পর্যন্ত এ বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক৷ চার ম্যাচে ছয় গোল হজম করেছেন তিনি৷ তবে দলকে রক্ষা করেছেন ২৫ বার৷
কোর্টোয়া (বেলজিয়াম)
এ বিশ্বকাপের চমক ছিল বেলজিয়াম৷ সেমিফাইনাল পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলেছে তারা৷ তৃতীয় নির্ধারণী ম্যাচ এখনো বাকি৷ গোলরক্ষক টিবো কোর্টোয়া ছ’টি গোল খেলেও নস্যাৎ করেছেন প্রতিপক্ষের ২২টি প্রচেষ্টা৷
শেমাইখেল (ডেনমার্ক)
ড্যানিশ গোলরক্ষক কাসপার শেমাইখেল ২১টি বল সেভ করেছেন৷ চার ম্যাচে গোল খেয়েছেন দু’টি৷
পিকফোর্ড (ইংল্যান্ড)
ছয় ম্যাচে ১৫টি বল আটকেছেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড৷ ৭১.৪ শতাংশ বল সেভ করতে পেরেছেন তিনি৷
আকিনফ্যিফ (রাশিয়া)
স্বাগতিক রাশিয়াও এবার চমক দেখিয়েছে৷ সেখানে গোলরক্ষক ইগোর আকিনফ্যিফের ভুমিকা ছিল অনস্বীকার্য৷ তিনি পাঁচটি ম্যাচে সাত গোল খেলেও ১৫ বার দলকে গোল খাওয়া থেকে বিরত রেখেছেন৷
কাওয়াশিমা (জাপান)
জাপানিজ গোলরক্ষক আইজি কাওয়াশিমা ১৪টি সেভ করেছেন৷ বেলজিয়ামের কাছে ট্র্যাজিক হারের দিনসহ মোট চারটি ম্যাচে সাত গোল খেয়েছেন৷
জো (দক্ষিণ কোরিয়া)
এশিয়ার দলগুলো এবারও দৃঢ়তা দেখিয়েছে বিশ্বকাপে৷ জার্মানির বিদায়ে দুর্দান্ত ভুমিকা রেখেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক হায়িওন-উ জো৷ তিনি সর্বমোট ১৩টি সেভ করেছেন৷ তিন ম্যাচে গোল খেয়েছেন তিনটি৷
সুবাসিচ (ক্রোয়েশিয়া)
ক্রোয়েশিয়ার দানিয়েল সুবাসিচ প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১২টি সেভ করেছেন৷ গোল খেয়েছেন তিনটি৷
জমার (সুইজারল্যান্ড)
সুইস গোলরক্ষক ইয়ান জমারও ১২টি সেভ করেছেন৷ খেলেছেন চার ম্যাচ৷ গোল খেয়েছেন পাঁচটি৷
মুসলেরা (উরুগুয়ে)
উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্ডো মুসলেরা ১১টি সেভ করেছেন৷ পাঁচ ম্যাচে গোল খেয়েছেন তিনটি৷
নয়ার (জার্মানি)
জার্মানি গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে৷ তবে ঐ তিন ম্যাচে মানুয়েল নয়ার দলকে আরো বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন৷ আরো ১১ বার দলকে গোল হজম করতে দেননি৷