1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিভক্ত রায়ে ঝুলেই থাকল খালেদার ভবিষ্যৎ

১১ ডিসেম্বর ২০১৮

দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই বিষয়ে বিভক্ত রায় দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/39s9g
Khaleda Zia Bangladesch
ছবি: Bdnews24.com

বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটেনি৷ দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড হওয়ায় তিনটি আসনে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা৷ এরপর নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হলেও ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি তাঁর দল বিএনপি৷

পরবর্তীতে খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিল সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তাঁর আইনজীবীরা৷ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সোমবার শুনানিশেষে মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন৷

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইসিকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন৷ খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে৷''

‘‘অন্যদিকে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে খালেদার ভোটের ভাগ্য আটকে যায়,'' লিখেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

হাইকোর্টের এই বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেয়ায় এখন মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে৷ তিনি এই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন৷ তবে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কেমন সময় লাগবে তা জানা যায়নি৷

এদিকেখালেদা জিয়ার মনোনয়নের বিষয়ে আদালতের বিভক্ত আদেশের পেছনে সরকারের ‘কারসাজি' রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘এটা সুস্পষ্ট যে, পেছনে সরকার কলকাঠি নাড়ছে৷ নাহলে দ্বিধাবিভক্ত রায় হবে কেন?''

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন৷ এসব আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থীও রয়েছেন৷

এআই/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য