বিদেশে চাকুরিপ্রার্থীদের জন্য চালু হলো ‘বিদেশ জবস'
২৯ এপ্রিল ২০১৯নতুন এই সাইটটি বিদেশে চাকুরিপ্রার্থীদের সরাসরি সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে৷ ফলে এতকাল দালালরা যে অবৈধভাবে চাকুরিপ্রার্থীদের হয়রানি ও প্রতারণার মাধ্যমে বাড়তি অর্থ আদায় করতো, তা বন্ধ হবে বলে মনে করছেন অ্যাক্টিভিস্টরা৷ আইওএম-এর বাংলাদেশ কার্যালয়ের উপপ্রধান ডিমানশ্ শ্যারন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অভিবাসীরা সাইটটিতে নিবন্ধন এবং নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরিতে আবেদন করতে পারবেন৷ ফলে নিয়োগদাতারাও সেরা কর্মীদের পাবেন৷ ওয়েবসাইটটি উভয়পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে৷''
শ্রমিক অ্যাক্টিভিস্টরা জানান, প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি চাকুরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ বর্তমানে দেশটির পঁচাত্তর লাখ নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকুরি করছেন৷ শুধুমাত্র ২০১৭ সালে চাকুরি নিয়ে বিদেশে গেছেন অন্তত দশলাখের মতো বাংলাদেশি, যা সরকারি হিসেব অনুযায়ী এক বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা৷ তাদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে নির্মাণ এবং পরিচ্ছন্নতা শ্রমিকের কাজ করছেন৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশিদের বিদেশে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়শই প্রতারিত করে দালাল চক্র৷ তারা অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রকৃত বেতনের চেয়ে বেশি বেতন দেবার কথা বলে শুরুতে তাদের কাছ থেকে বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়৷ এরপর শ্রমিকরা বিদেশে গিয়ে ভিন্ন চিত্র দেখতে পান৷
এ ধরনের দালালদের হাত থেকে শ্রমিকদের রক্ষায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সরকার৷ এরপর থেকে শুধুমাত্র সরকারকর্তৃক স্বীকৃত নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাকুরি নিয়ে বিদেশে যেতে বাংলাদেশি কর্মীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি রবিবার থেকে ‘বিদেশ জবস' সাইটটি চালু করা হয়েছে, যাতে চাকুরিপ্রার্থীরা সরাসরি নিয়োগদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন প্রবাসী কর্মীরা৷ পোশাক খাতের পর দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স৷
এআই/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)