‘বিতর্কিত’ লিজ টেলরের ভূমিকায় ‘বদনামী’ লিন্ডসে
২৪ এপ্রিল ২০১২সবই সেই ইমেজের খেলা৷ তা যদি না হবে, তবে হলিউডে এত এত অভিনেত্রী থাকতে লিন্ডসে লোহান কেন? এ প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ একটাও ক্ল্যাসিকাল ছবিতে এখনও অভিনয়ের অভিজ্ঞতা লিন্ডসে লোহানের নেই৷ দেখতে সুন্দরী আর বয়েসটা কম, সেসবই গ্রহণযোগ্য, কিন্তু লিন্ডসেই সেই কন্যা, যাকে ঘিরে বিতর্কের আর বদনামের ঝড় বহে যায় প্রায়শই৷ সে কখনো মদ খেয়ে গাড়ি চালায় আর ধরা পড়ে গিয়ে তাকে চলে যেতে হয় কারাগারের অন্তরালে, মানে যেখানে গিয়ে সে নিজেকে শুধরোয়৷ কখনও তার ব্যাগে পাওয়া যায় মাদক, আর ফের শুরু হয় হৈচৈ৷ কখনো বা অন্যের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে লিন্ডসে লোহান হাজির হয় পার্টিতে, সেখানে দুই নারীর চুলোচুলির দৃশ্য দেখে সকলে তারিয়ে তারিয়ে৷
অতএব বিতর্ক লিন্ডসের পিছু ছাড়েনা৷ যেমন ছাড়ত না এলিজাবেথ টেলরের৷ পাঁচ আর ছয় আর সাতের দশকে হলিউড মাতানো এই নায়িকার প্রেমকাহিনি আর রিচার্ড বার্টনের সঙ্গে লিজ টেলরের ক্লিওপেট্রা ছবির সেট-এ সেই দুনিয়া কাঁপানো কেচ্ছার বিয়ে৷ যে বিয়ে কিনা, বার্টন আর এলিজ়াবেথ নিজেদের স্বামী আর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে এসে করে ফেলে হৈচৈ ফেলেছিলেন৷ কিংবা লিজের বিবাহ প্রেম৷ এক জীবনে দুই তিনবারে শান্তি হয়নি, মোট নয়বার বিয়ে করেছিলেন তিনি৷ তার মধ্যে এই রিচার্ড বার্টনকেই তো দুবার!
তো, লিজের জীবন নিয়ে হবে মার্কিন টিভিতে একখানা সিরিয়াল৷ যাতে লিজের ভূমিকায় বেছে নেওয়া হল লিন্ডসেকে৷ যাকে ঘিরে বিতর্ক আর বদনামের শেষসীমা নেই৷ এ খেলাও তো ইমেজেরই! লিন্ডসের ইমেজ টেলরের সঙ্গে না মিললেও, তার আর যাই থাক না থাক, নামের সঙ্গে বিতর্ক আছে তো! ব্যবসা অতএব সেই বদনামকে ঘিরেই হবে৷ এই জন্যই তো বলা হয়, ‘বদনামটাও আসলে একটা নাম৷'
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (ডিপিএ, এপি)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন