হিগস-বোসন কণা
৬ জুলাই ২০১২বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির অসীম রহস্য উন্মোচনের এক নতুন পথ খুলে দিল জেনিভায় সার্নে আবিষ্কৃত হিগস-বোসন কণা, যাকে বলা হচ্ছে ঈশ্বর কণা৷ এই গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে জুড়ে আছে কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের পাঁচ জন বিজ্ঞানীর নাম৷
কিন্তু গোল বেঁধেছে হিগস-বোসন কণা নামের ‘বোসন' শব্দটি নিয়ে৷ সেই বিশের দশক থেকেই পার্টিক্যাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্র নাথ বসুর অবদান অনস্বীকার্য৷ সার্নের গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সুবীর সরকার কিন্তু ডয়চে ভেলেকে বললেন, এই ঈশ্বর কণা আবিষ্কারে সত্যেন বসুর কোন অবদান নেই৷ তবে হ্যাঁ, পরমাণুর চেয়ে ক্ষুদ্র ‘বোসন' জাতের কণা সত্যেন বসুর সংখ্যাতত্ত্ব মেনে চলে৷ তাই বলে হিগস-বোসন কণা আবিষ্কারের কৃতিত্ব সত্যেন বসুর নয়৷
একই কথা ডয়চে ভেলেকে বললেন সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর হাই এনার্জি বিভাগের বিজ্ঞানী সুকল্যাণ চট্টোপাধ্যায়৷ ১৯২৪ সালে বোসন কণার অস্তিত্বের কথা সকলে জানতে পারেন৷ কিন্তু এর সঙ্গে বোসের কোন সম্পর্ক নেই৷ তবে বোসের আবিষ্কৃত সংখ্যাতত্ত্বের অবদান আছে৷
কেউ কেউ মনে করেন, কণাটির অস্তিত্ব প্রথম অনুমান করেন পিটার হিগস৷ আর বোসন এসেছে সত্যেন্দ্র নাথ বসুর নাম থেকে৷ কিন্তু কলকাতা বিজ্ঞানী মহলের একাংশ তা মানতে রাজি নন৷ যদিও সার্নের মুখপাত্রের ভাষায় ভারত এই কণার ঐতিহাসিক জনক৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন