‘বিজেপি সরকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেটাই করছে’
২২ অক্টোবর ২০২০‘‘হিন্দু নয়, মুসলমান নয়, মানুষ হিসেবে সবাইকে সমানভাবে দেখুন,’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সবাইকে অনুরোধ করেছেন পাঠক শাওন৷ শাওনের সাথে একমত প্রকাশ করে জামাল উদ্দিন লিখেছেন, সময় উপযোগী প্রতিবেদন, ধন্যবাদ৷ এ বিষয়ে পাঠক রফিকুল ইসলামেরও একই ভাবনা৷ ডয়চে ভেলের সাংবাদিকরা চোখমুখ খোলা রাখেন রিপোর্টটি মনে হয়েছে পাঠক রফিকুল ইসলাম রুবেবের কাছে৷ পাঠক শাহাদাত হোসেনের শাহেদ সরাসরি মন্তব্য করেছেন, ‘‘সময়ের সাহসি উচ্চারণ৷’’ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পাঠকদের সামনে তুলে ধরার জন্য ডিডাব্লিউকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রাসেল আহমেদ৷
‘‘কলকাতায় পূজা নিয়ে যেটা চলছে সেটা অনুচিত তবে সেটা দিয়ে তাবলীগকে জাস্টিফাই করা যায় না৷ তাবলিগের সময় স্ট্রিক্ট লকডাউন ঘোষণা ছিল, জনগনের বাইরে বেরোনো মানা ছিল এখন সে পরিস্থিতি নয়৷ তবুও মানুষ ভুল করছে অপ্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে৷’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মতামত জানিয়েছেন পাঠক সাহা আশীষ৷
তবে পাঠক শাহ আলম দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘তাবলিগের সময় সেখানে করোনা কোন সাবজেক্ট ছিল না৷ সেখানে সাবজেক্ট ছিল মুসলিম ও ইসলাম ধর্ম৷ আর মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলার ও দু কলম লেখার লোকের অভাব নাই৷ দুর্গাপূজায় করোনার প্রতিরোধ কোন সামাজিক দূরত্ব মানা হবে না৷ তারপর ও কথা বলার কেউ থাকবে না৷’’
আর পাঠক জিল্লুর রহমান মনে করেন, কোন ধর্মের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা কারও কাম্য নয় কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেটাই করছে৷
পাঠক আলি আজহারের ধারণা, মানুষ এখন করোনাকে আর আগের মত ভয় পায়না৷ শুরুতে করোনাকে নিয়ে যে ভয় আতঙ্ক ছিল, এখন সেটা নেই বলেই নাকি পূজায় এত ভিড়, ধর্ম কোনো বিষয় নয়৷
আর মাহি ইসলাম শামী জানিয়েছেন, ‘‘দিল্লি সরকার তাবলিগওয়ালাদের ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টানে রেখে কাউকেই পজেটিভ পায়নি৷ পরে দিল্লি কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়ি চলে যাওয়া অনুমতি দিয়ে দেয়৷ অথচ করোনা ছাড়নোর কথা বলে মুসলমানদের উপর যে তান্ডব চালানো হয় সেটা কারো পক্ষেই মানা সম্ভব নয়৷’’
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন