1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভে মার খাচ্ছে পর্যটন

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ এবং তা ঘিরে অশান্তির জেরে মার খাচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্প৷ গত এক মাসে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমেছে চোখে পড়ার মতো৷ মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের৷

https://p.dw.com/p/3VThY
ছবি: DW

ঠান্ডা, শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে দেশ জুড়ে এখনও চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের৷ যার মধ্যে শুধু উত্তরপ্রদেশেই ১৯৷ উত্তপ্ত ভারতে আসতে ভয় পাচ্ছেন পর্যটকেরা৷ সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে শুধু তাজমহল আসাই বাতিল করেছেন প্রায় দুই লাখ পর্যটক৷ যার অধিকাংশই বিদেশি৷ তাজমহলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আগ্রা পুলিশের আধিকারিক দীনেশ কুমার সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ''গত বছরের তুলনায় এ বছর ডিসেম্বরে পর্যটক কমেছে অন্তত ৬০ শতাংশ৷'' তিনি আরও জানিয়েছেন, বহু পর্যটক তাঁদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চাইছেন৷ আশ্বস্ত করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা আসছেন না৷

অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ বিদেশি পর্যটক আসেন ভারতে৷ ভারতীয় পর্যটকেরাও এ সময়ে বেড়াতে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ এর মধ্যে একটা বড় অংশের বিদেশি পর্যটক আসেন পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য তাজমহল দেখতে৷ দিল্লি, আগ্রা, রাজস্থান এ সময় ভরে থাকে পর্যটকে৷ কিন্তু এ বছর সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এবং পুলিশি অভিযানের ফলে ধস নেমেছে পর্যটন ব্যবসায়৷ দিল্লিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকের কথায়, ''আগ্রা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল৷ তাজমহল আর ফতেপুর সিক্রি দেখতেই এত দূর এসেছিলাম৷ কিন্তু যে ভাবে সর্বত্র ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে, তাতে যেতে ভয় পাচ্ছি৷ দিল্লি থেকেই ফিরে যাচ্ছি দেশে৷''

পর্যটন ব্যবসায়ী শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ''শুধু ডিসেম্বরেই ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে ৩০ শতাংশ৷ উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি তো বটেই কলকাতাতেও আসতে চাইছেন না বিদেশি পর্যটকেরা৷ দেশের পর্যটকেরাও শেষ মুহূর্তে বেড়ানো বাতিল করছেন৷ অথচ হোটেল, গাড়ি সমস্ত বুক করা হয়ে গিয়েছে৷ কী ভাবে সে টাকা ফেরত আসবে বুঝতে পারছি না৷''

বস্তুত, সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ এবং তা ঘিরে হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর অন্তত ১০টি দেশ নাগরিকদের জন্য পর্যটন অ্যাডভাইসারি জারি করেছে৷ যাতে বলা হয়েছে, সম্ভব হলে ভারতে বেড়াতে না যাওয়াই ভাল৷

পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে এ বছর পর্যটন যে গত বছরের চেয়ে কমেছে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই৷ 

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো