বাংলাদেশি হত্যা
৩০ ডিসেম্বর ২০১২শরিবার ভোররাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে গুরুতর আহত হন গরু ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম৷ আহত অবস্থায় তাকে সঙ্গীরা কানাইডাঙ্গায় নিয়ে এলে তার মৃত্যু হয়৷ তিনি মহেশপুরের তেতুল তলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে৷ বিজিবি জানায় আনোয়ারসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী সীমান্ত পার হয়ে গরু আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়৷ চলতি বছরে এই নিয়ে বিএসএফ-এর হাতে মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি নিহত হলেন৷ আর গত বছর নিহত হয়েছেন ৩১ জন৷ ভারত বার বার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, বরং বাড়ছে৷ এজন্য ‘অধিকার' এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিকেই দায়ী করেন৷
তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা এক দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন৷ সেখানে প্রতি চার দিনে একজন নিহত হন বিএসএফ-এর হাতে৷ আর হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তারা বিএসএফ-এর হাতে নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷
তিনি মনে করেন, ভারতের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভানা কম৷ তাই বাংলাদেশকে এখন সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে প্রতিকার চাইতে হবে৷ তবে সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে তার পররাষ্ট্রনীতি শক্ত করতে হবে৷
‘অধিকার' এরর হিসেব অনুয়ায়ী ২০০০ সাল থেকে ১৩ বছরে সীমান্তে ৯৬৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বিএসএফ-এর হাতে৷