মাঠ গরমের আন্দোলন
৩ আগস্ট ২০১৪জানা গেছে ১৫ আগষ্টের আগে এবং পরে বিএনপি ধারাবাহিক কিছু আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে৷ আর এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য থাকবে দেশের মানুষের কাছে আন্দোলনের বার্তা পৌছে দেয়া৷ সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা৷ তবে চূড়ান্ত আন্দোলন হবে ঈদ-উল-আজহার পরে৷
বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন ঈদ-উল-ফিতর মাত্র শেষ হয়েছে৷ আর দেখতে দেখইে পবিত্র হজ এবং ঈদ-উল-আজহা এসে যাবে৷ তাই এই সময়ের মধ্যে কোন কঠিন কর্মসূচি না দিয়ে আন্দোলনের মাঠ গরম করা এবং সরকারকে সংলাপ ও পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সময় বেধে দেয়া হবে৷ আর সরকার যদি এরসমধ্যে নমনীয় হয়তো ভাল৷ নয় কোরবানির ঈদের পরই সরকার বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে৷
বিএনপির সিনিয়র নেতারা এরইমধ্যে কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন৷ তবে কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি৷ কর্মসূচি চূড়ান্ত করার আগে জোটের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে৷
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চান চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুর আগে আবার বিদেশি কূটনীতিকদের সক্রিয় করতে৷ এজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন তারা৷ কারণ ৫ জানুযারির একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা সরকার বিরোধীদের সহিংস আন্দোলনের সমালোচনা করেছেন৷ তাই তারা চাইছেন কূটনীতিকরা যেন বুঝতে পারেন বিএনপি সহিংস আন্দোলন চায় না৷ আর তারাও যেন সরকারকে বোঝান যে সহিংসতা এড়াতে সংলাপ এবং নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই৷
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এরইমধ্যে জানিয়েছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চায়৷ দেশের মানুষকে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে৷
আর বিএনপির যুগ্ম মহাসচি রুহুল কবির রিজভি শনিবার বলেছেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি দিচ্ছি৷ আর এই আন্দেলন আগস্টেই শুরু হবে৷''
কবে থেকে আন্দোলন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘দু'একদিনের মধ্যেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসবেন৷ এরপর জোট নেতারা বৈঠক করবেন৷ আর এই বৈঠক থেকেই আন্দোলন কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘সরকার যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি ঠেকাতে শক্তি বা অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করে তাহলে আমরাও বসে থাকব না৷''