1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির পাঁচ নেতা কারাগারে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ নভেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন নেতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতারের পর শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1AEaK
Police surround Bangladesh Nationalist Party (BNP) standing committee members MK Anwar(L), Rafiqul Islam Mia (C) and Moudud Ahmed after they left a court following a hearing in Dhaka November 9, 2013. The opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) on Saturday announced another 84-hour nationwide strike, starting on Sunday, after police arrested BNP leaders, triggering violent protests across the country. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

গ্রেপ্তারকৃত শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে হরতালে নাশকতার ষড়যন্ত্র এবং উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার থেকে ডাকা বিএনপির টানা তিন দিনের হরতাল বাড়িয়ে চার দিন করা হয়েছে৷ আর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, সহিংসতাকারীরা যত বড় নেতাই হোন না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে৷

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার এবং ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আটক করে৷ এরপর গভীর রাতে আটক করা হয় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং বিশেষ সহকারি শিমুল বিশ্বাসকে৷ এই পাঁচ জনকে রাজধানীর মতিঝিল থানার দু'টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, তাদের বিরুদ্ধে হারতালে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ এবং নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গত পাঁচই নভেম্বর মামলা দু'টি দায়ের করা হয়৷

বিএনপির এই পাঁচ নেতাকে শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় প্রত্যেকের ২০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ৷ আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পঠিয়েছেন৷

শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের পতনের শেষ সাইরেন বেজে উঠেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘গ্রেফতার আর নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা৷'' তাই তিনি ৭২ ঘণ্টার হরতাল বাড়িয়ে ৮৪ ঘণ্টার কথা জানান৷ রিজভী অভিযোগ করেছেন সারা দেশেই ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হচ্ছে৷ তিনি নিজেও পুলিশের হুমকির মুখে রয়েছেন৷

এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ বলেছেন, ‘‘সহিংসতাকারী হলে তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে৷ যাদের নির্দেশে দেশের এবং সাধারণ মানুষের সম্পদের ক্ষতি হয়, সাধারণ মানুষের প্রাণ যায় তারা আইনের উর্ধ্বে থাকতে পারেন না৷

আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘‘বিএনপির পাঁচ নেতাকে আটক করতে সরকার বাধ্য হয়েছে৷ তারা দাবি আদায়ের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন৷ তাদের ডাকা অবৈধ হারতাল প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে৷''

তবে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘‘কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন৷ বিরোধী দলের অনুসারী হলেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যায়না৷''

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেফতারের পর রাজধানীতে পুলিশের ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চলছে৷ অভিযানের মুখে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন৷ তবে তাদের গ্রেফতারে প্রতিবাদে রাজধানীতে বাসে আগুন এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ ও কবির হাটে স্থানীয় বিএনপির ডাকে শনিবার হরতাল পালিত হয়েছে৷

সংবাদ মাধ্যমে পঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘‘যেকোন মূল্যে একতরফা নির্বাচন রুখে দেয়া হবে৷'' তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য