1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়োমেট্রিক নিরাপত্তার দুর্বলতা

৫ জুলাই ২০১৮

আঙুলের ছাপ বা মুখচ্ছবি শনাক্ত করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে নিরাপত্তার প্রবণতা বাড়ছে৷ কিন্তু প্রতারকরা এই ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে পারছে৷ একদল গবেষক সেই দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন৷

https://p.dw.com/p/30ptv
Symbolbild Gesichtserkennung
ছবি: picture-alliance/picturedesk/H. Ringhofer

কম্পিউটরে নিরাপত্তার স্বার্থে পাসওয়ার্ডের বদলে কখনো মুখচ্ছবি দেখে ব্যক্তি চেনার প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু কোনো অযাচিত ব্যক্তি মুখোশ পরে কিছু বায়োমেট্রিক সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে কম্পিউটারের নাগাল পেতে পারে৷

এক ইউরোপীয় প্রকল্পের আওতায় বায়োমেট্রিক সিস্টেমের দুর্বলতা শনাক্ত করে সেটিকে আরও নিরাপদ করে তোলার উদ্যোগ চলছে৷ বায়োমেট্রিক্স গবেষক সেবাস্টিয়াঁ মার্সেল বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম, যে সব বায়োমেট্রিক সিস্টেম সবচেয়ে কার্যকরভাবে কোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে, সেগুলিই আবার সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হতে পারে৷ প্রত্যেক নতুন হামলার পর আমাদের পালটা পদক্ষেপ সৃষ্টি করতে হয়৷ বায়োমেট্রিক সিস্টেম কেন এত নাজুক, তা জানতে আরও সময় লাগবে৷’’

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা

মুখচ্ছবি দেখে মানুষ চেনার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অবিকল মুখোশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে৷ এখনো পর্যন্ত হামলাকারীরা কোনো ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে সেই ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পেরেছে৷ কিন্তু এবার গবেষকরা সফটওয়্যাররের মাধ্যমে এমন হামলা প্রতিহত করতে পারছেন৷ গবেষক হিসেবে নেসলি এর্দোমুশ মনে করেন, ‘‘প্রথমত, চোখের পাতা ফেলার ছন্দ শনাক্ত করা হচ্ছে৷ সফটওয়্যার ব্যবহারকারীকে ঠিক সময়ে চোখের পাতা ফেলতে বলে৷ ফলে ক্যামেরার সামনে শুধু তার ছবি দেখালে চলে না৷ মোশন বা গতিবিধি শনাক্ত করেও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে৷ মুখের ছাপা ছবি ও আসল মুখের নড়াচড়া এক হতে পারে না৷''

গবেষকরা ত্বকের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের এক পদ্ধতি নিয়েও কাজ করছেন৷ ফলে বায়োমেট্রিক সফটওয়্যার আসল মুখচ্ছবি ও মুখোশের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারবে৷

আঙুলের ছাপ কোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়৷ কিন্তু গবেষকরা তার দুর্বলতাগুলি তুলে ধরছেন৷ কালিয়ারি বিশ্ববিদ্যলয়ের জানলুকা মার্সিয়ালিস বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যে কৃত্রিম আঙুলের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেমকে বোকা বানানো সম্ভব৷ সুপারমার্কেটেই তার উপকরণ কিনতে পাওয়া যায়৷''

কাচ বা অন্য কোথাও আঙুলের ছাপ নকল করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা কাজে লাগানো যায়৷ দ্রুত ও সস্তার এই প্রক্রিয়ায় চুইং গামের সাহায্যে মূল আঙুলের ছাপ নকল করা হয়৷ অনেক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আসল ও নকলের মধ্যে তফাত ধরতে পারে না৷ মার্সিয়ালিস বলেন, ‘‘আমরা সিস্টেমে রাখা এক আঙুলের ছাপ নকল করতে পারি৷ প্রায় নিখুঁতভাবে মেলাতে পারি৷''

প্রস্তাবিত সমাধানসূত্রের নাম ‘লাইভনেস অ্যাসেসমেন্ট'৷ ত্বকের বিন্যাস অত্যন্ত কৃত্রিম মনে হলে এই প্রযুক্তি আঙুলের ছাপ নাকচ করে দেবে৷ জানলুকা মার্সিয়ালিস বলেন, ‘‘আমাদের সিস্টেম দুটি বিষয় পরিমাপ করে৷ একদিকে বিন্যাসের মধ্যে মিল শনাক্ত করে৷ পর্দায় সবুজ রংয়ের অর্থ, দুই বিন্যাস মিলে যাচ্ছে৷ কিন্তু লাল রং ‘লাইভনেস অ্যাসেসমেন্ট' অত্যন্ত কম বলে ইঙ্গিত করছে৷ অর্থাৎ আঙুলের ছাপ ভালভাবে নকল করলেও কোনো প্রতারক নিরাপত্তা ভাঙতে পারবে না৷''

প্রতারকদের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে বায়োমেট্রিক বিশেষজ্ঞদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য