বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থান নিয়ে বিতর্ক
১ মার্চ ২০১৪‘আবোভিন্ড' নামে একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকৌশলী অলিভার বিবার৷ গত কয়েক মাস ধরে তিনি ফ্রাংকফুর্ট আম মাইনের একটি ‘উইন্ডপার্ক' নিয়ে চিন্তিত৷ কেননা বিমানবন্দরের কাছে হওয়ার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কোম্পানিকে৷
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ মনে করে এর ফলে বিমান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ জার্মানির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ বা ডিএফএস-এর মুখপাত্র আক্সেল রাব বলেন, ‘‘একটা বিমান যখন এয়ারপোর্টের কাছে চলে আসে, তখন বিমানবন্দরে ট্রাফিক বেশি থাকলে সাবধান হয়ে যেতে হয়৷ লক্ষ্য রাখতে হয়, যেন দুটো বিমানে সংঘর্ষ না বাধে, দুর্ঘটনা না ঘটে৷ এই বিষয়টা আমাদের খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হয়৷''
সঠিক পথে থাকতে বিমানকে নিয়মিতভাবে ন্যাভিগেশন সিগনাল রিসিভ করতে হয়৷ তাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে সতর্ক থাকতে হয়৷ কিন্তু উইন্ড টারবাইনের কারণে সিগনাল পরিবর্তন হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে বিমান ভুল সিগনাল পেতে পারে৷ এজন্য প্রতিটা ট্রান্সমিটারে একটা ‘নিরাপত্তা জোন' থাকে, যেটা উইন্ড টারবাইনের মতো বাধা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো অকার্যকর করে দেয়৷
তবে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের অধ্যাপক ড. নিকোলাউস হ্যার্মান বলেন, ‘‘টারবাইনগুলো তৎক্ষণাৎ বড় সমস্যার সৃষ্টি করে, বিষয়টা এমন নয়৷ তবে অতিরিক্ত কিছু ঝামেলা হতে পারে, যা নির্ভর করে এর পরিমাণের উপর৷ যেমন রাস্তায় যদি লেন ঠিক করে দেয়া চিহ্নগুলো না থাকে, তাহলে যে দুর্ঘটনা ঘটবেই, ব্যাপারটা সেরকম নয়৷ তবে এর ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে৷''
বিমানে থাকা কম্পিউটার ভুল সিগনাল ঠিক করতে পারে৷ কিন্তু উইন্ড টারবাইনের কারণে সৃষ্ট বাধা দূর করা কঠিন৷ ফ্রাউয়েনহোফার ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেশন টেকনলজিতে এ বিষয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে৷ ইনস্টিটিউটের ড. স্টেফান হাওলিটৎস্কা বলেন, ‘‘টারবাইনগুলো বাতাসের গতি অনুযায়ী বিভিন্নভাবে ঘুরতে থাকে৷ এটা বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷''
বড় বিমানবন্দরের কাছে উইন্ড টারবাইনের উপস্থিতি বিমান চলাচলে নিরাপত্তার জন্য এক ধরনের হুমকি৷ তাই অলিভার বিবারকে তাঁর বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হয়ত বন্ধ রাখতে হতে পারে৷