শরণার্থীর মৃত্যুর খবর ‘বানানো’?
২৮ জানুয়ারি ২০১৬বার্লিনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর এক স্বেচ্ছাসেবী প্রথমে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমেই জানিয়েছিলেন শরণার্থীদের নাম তালিকাভুক্ত করানোর কার্যালয় ‘লাগেসো'-র সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার ধকল সইতে না পেরে এক শরণার্থীর করুণ মৃত্যুবরণের কথা৷ স্বেচ্ছাসেবীর ভাষ্য অনুযায়ী, সিরিয়া থেকে আসা ওই শরণার্থী ‘লাগেসো'-র সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শীতে কাবু হয়ে পড়েন৷ প্রচণ্ড সর্দি-কাশি শুরু হয়ে যায়৷ অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হওয়ায় ওই স্বেচ্ছাসেবীই নাকি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অসুস্থ শরণার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পথেই ২৪ বছর বয়সি ওই শরণার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷
ঘটনার সকরুণ বর্ণনা শেষে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাই ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর স্বেচ্ছাসেবী প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘‘ওর কি এভাবে মারা যাওয়ার কথা ছিল? কেন এভাবে মৃত্যু হলো তাঁর? হয়ত আগে থেকে আমরা ওর জন্য কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিইনি বলেই...৷''
স্বেচ্ছাসেবীর এই বক্তব্য সংবাদমাধ্যমেও এসেছে৷ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরুর পরই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে ফেলেছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী৷
এদিকে বার্লিনের পুলিশ শুরুতে খবরটি সত্য ধরে নিয়ে টুইট করলেও পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে, খবরটি পুরোপুরি বানানো৷ তাদের দাবি, শহরের সব হাসপাতাল এবং অন্য সব সম্ভাব্য স্থানে অনুসন্ধান চালানোর পরও এমন কোনো মৃত্যুর খবরের সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়নি৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আরো দাবি করা হয়, শরণার্থীর মৃত্যুর খবরটি যিনি প্রচার করেছিলেন ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তিনিও স্বীকার করেছেন খবরটি মনগড়া ছিল৷
এদিকে শরণার্থীদের বিষয়ে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুইডেন৷ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ডার্স উ্যগেমান জানিয়েছেন, সে দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ৬০ থেকে ৮০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, অভিবাসনের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণেই তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
পুলিশ বলছে শরণার্থীর মৃত্যুর খবর বানানো৷ আপনিও কি তাই মনে করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷