বার্লিনে ড্রোন প্রতিযোগিতা
২৬ নভেম্বর ২০১৫
মডেল বিমানের তুলনায় অনেক বেশি চটপটে ও দ্রুত – এগুলিকে রেসিং ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার বলা হয়৷ আজকাল অনেকেই এই নিয়ে মেতে উঠেছে৷ বার্লিনেও অনেক হবি-পাইলট পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেন৷ কোয়াডকপ্টার পাইলট আডাম পুশনি বললেন, ‘‘এটা একটা রেসিং কোয়াডকপ্টার৷ রেসিং-এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে৷ অত্যন্ত দ্রুত এবং মজবুত – বিশেষ করে বার বার ওড়ালে৷ কোয়াডকপ্টারের ৪টি মোটর রয়েছে৷ তাই এই নাম৷ মাঝে রয়েছে এক স্টারবোর্ড, যা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে৷ সবসময়ে দুটি ক্যামেরা থাকে৷ একটি ভিডিও তোলে, অন্যটি সব দৃশ্য সরাসরি এই চশমায় সম্প্রচার করে৷ কোনদিকে উড়ছি, তা দেখতে পাই৷''
পাইলট ক্যামেরার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উড়ালের উপর নজর রাখেন৷ একে ‘ফার্স্ট পার্সন ভিউ' বা এফপিভি বলা হয়৷ ভিডিও-চশমার মাধ্যমে পাইলট দেখতে পান, কপ্টার কী ছবি তুলছে৷ মনে হয়, তিনি নিজেই যেন সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে উড়ে চলেছেন৷ এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক অনুশীলনের প্রয়োজন৷ হবি পাইলট মার্সেল স্পার বলেন, ‘‘ঠিক মনে হয়, নিজেই যেন কপ্টারের ভিতরে রয়েছি৷ ক্যামেরা ও ভিডিও-চশমার মাধ্যমে প্রথম যে দুটি উড়ালের চেষ্টা করেছিলাম, সে সময়ে সব কিছু এতই বাস্তব মনে হয়েছিল, যে একবার ঘোরানোর সময় সিট ছেড়ে পড়েই গিয়েছিলাম৷ মনে হচ্ছিল, ঠিক যেন মাঠের উপর এক পাখি ওড়াচ্ছি৷''
বার্লিনে প্রথম ‘ড্রোন মাস্টার্স' প্রতিযোগিতার সময় কপ্টার পাইলট-রা দর্শকদের সামনে এই খেলার আকর্ষণ তুলে ধরেছিলেন৷