বারাণসী, অযোধ্যা, মথুরায় ধরাশায়ী বিজেপি
৫ মে ২০২১বারাণসী, অযোধ্যা ও মথুরা হলো উত্তর প্রদেশে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তিনটি জায়গাতেই পঞ্চায়েত ভোটে খুবই কম আসন পেয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের কেন্দ্র বারাণসী। সেখানে বিজেপি পেয়েছে আটটি। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১৫টি। বিএসপি পাঁচটি এবং আপ এবং সুহেলদেব ভারতীয় জনতা পার্টি একটি করে আসন।
অযোধ্যার অবস্থা তো আরো খারাপ। অযোধ্যায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ছয়টি আসন, সমাজবাদী ২২টি, বিএসপি চারটি আসন। যেখানে রামমন্দির হচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথ যে জায়গাকে সব চেয়ে গুরুত্ব দেন, সেখানেও বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে।
মথুরায় বিএসপি ১২, অজিত সিংয়ের লোকদল নয়টি এবং বিজেপি তিনটি আসনে জিতেছে। অর্থাৎ, উত্তর প্রদেশের প্রধান তিনটি ধর্মীয় শহরে বিজেপি-র শোচনীয় হার হয়েছে। তবে শুধু এখানেই নয়, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছবিটা কমবেশি একই।
মিরাটে বিজপি পেয়েছে মাত্র ছয়টি আসন। সমাজবাদী পার্টি নয় ও বিএসপি ১২টি আসনে জিতেছে। পশ্চিম উত্তর প্রদেশ যেখানে কৃষকদের আন্দোলন জোরদার ছিল, সেখানে বিজেপি অধিকাংশ আসনে হেরেছে। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ উত্তর প্রদেশে বেশ কিছু আসনে জিতেছে।
অমর উজালার রাজনৈতিক সম্পাদক শরদ গুপ্তা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''এই ভোটে সব চেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে করোনা ও কৃষক আন্দোলনের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ প্রবল হয়েছে। লোকের মনে হয়েছে, সরকার কিছুই করেনি। সেই সঙ্গে কৃষকদের আন্দোলনের বিপুল প্রভাব পড়েছে। তারই যোগফলে বিজেপি খারাপ ফল করেছে।''এক বছরের মধ্যেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই হার যোগীর পক্ষে কতটা বিপদসঙ্কেত? যোগীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কি মানুষ ক্ষুব্ধ?
উত্তর প্রদেশের প্রবীণ সাংবাদিক সতীশ কে সিং মনে করেন, ''এই নির্বাচন ছিল সেমিফাইনাল। যোগীর মধ্যে স্বৈরাচারী ও পুলিশি ব্যবস্থা চালু করার প্রবণতা স্পষ্ট। কেউ সামাজিক মাধ্যমে অক্সিজেন বা বেড চেয়ে লিখছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এটা মানতে পারছেন না। করোনাকালে এই ভোট হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে।'' তার মতে, ''সরকার জোর করে সব কাজ করতে চাইছে। তার প্রভাব ভবিষ্যতেও পড়তে পারে।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, অমর উজালা)