1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাই বাই’ বলে চলে গেলেন ট্রাম্প

১০ জানুয়ারি ২০১৯

মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার অর্থের অনুমোদন না পেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন৷ বিরোধীরা সরকারি ব্যয় অব্যাহত রাখতে নিজস্ব পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3BIOd
ছবি: Getty Images/A. Wong

মার্কিন প্রশাসনের আংশিক ‘শাটডাউন’ বা অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতাদের হোয়াইট হাউসে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আলোচনা চলাকালীন ট্রাম্প আচমকা কক্ষ ত্যাগ করে চলে গেলেন৷ তারপরেই টুইট বার্তায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে তিনি লেখেন, হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের স্পিকার ও ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি এখনো মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ে তোলার প্রস্তাব মানতে নারাজ৷ ট্রাম্প তখন সেই বৈঠকে ‘সময় নষ্ট’ করতে চাননি৷

পেলোসি পরে সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসের ‘শীতল পরিবেশ’-এর উল্লেখ করে বলেন, কয়েকদিন পরেই ফেডারেল সরকারের অনেক কর্মী প্রথমবারের মতো বেতনের চেক পাবেন না, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়৷ এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহানুভূতির অভাবের উল্লেখ করে তিনি পরোক্ষভাবে ট্রাম্প পরিবারের প্রাচুর্যের প্রতি কটাক্ষ করেন৷ পেলোসি বলেন, প্রেসিডেন্ট সম্ভবত ভাবছেন, কর্মীরা তাঁদের বাবাদের কাছে আরো অর্থ চাইলেই পারেন৷ কিন্তু কার্যত সেটা সম্ভব নয়৷

অ্যামেরিকায় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই বিষাক্ত হয়ে পড়ছে যে, বৈঠকের ঘটনাবলি নিয়েও দুই রকমের বয়ান শোনা যাচ্ছে৷ সেনেটে ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা চাক শুমার দাবি করেন, ট্রাম্প তাঁর ক্রোধ উগরে দিয়ে টেবিল চাপড়ে চলে যান৷ তাঁর মতে, এমন আচরণ কোনো প্রেসিডেন্টকে মানায় না৷ 

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স অবশ্য এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট গলা তুলে কথা বলেছেন বা টেবিল চাপড়েছেন, এমন কিছু ঘটেছে বলে তাঁর মনে নেই৷ তিনি অ্যামেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে ‘মানবিক ও নিরাপত্তা’ সংকটের উল্লেখ করে বলেন, এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটরা সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নয়৷

রিপাবলিকান দলের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হবার পর ডেমোক্র্যাটরা একতরফাভাবে অর্থ মন্ত্রাণলায়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের কাজ আবার শুরু করার পক্ষে ভোট দেন৷ তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট নিজের দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনে অচলাবস্থা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর৷ অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটিক দল দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের জীবনে নিশ্চয়তা ফিরিয়ে আনতে চায়৷ সেনেটে রিপাবলিকান দলের সদস্যরা এই প্রস্তাব অনুমোদন না করলে তারাও এই ‘অরাজকতা ও নিষ্ঠুরতা’-র দোসর হবে বলে ডেমোক্র্যাটরা সতর্ক করে দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় অব্যাহত রাখতে বিরোধীরা আলাদা আলাদা প্রস্তাব অনুমোদনের উদ্যোগ নিচ্ছে৷ রিপাবলিকান দলের সংসদ সদস্যরা অবশ্য এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দেখিয়ে চলেছেন৷ বুধবার এক বৈঠকে তাঁরা এই ঐক্য দেখিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)