1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে' পৌঁছেছে’

২৬ এপ্রিল ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব' থেকে সফলভাবে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে' পৌঁছেছে৷

https://p.dw.com/p/4QahD
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)ছবি: Xinhua News Agency/picture alliance

বুধবার সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন তিনি৷

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আদ্যপান্ত আলোচনা করেছি৷ আমরা খুব খুশি যে, আমরা বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পকর্কে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব' থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছাতে পেরেছি৷''

দুই প্রধানমন্ত্রীরমধ্যে আলোচনার পর ঢাকা ও টোকিও কৃষি, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, মেট্রোরেল, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়৷

আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক৷

এর আগে দুপুরে টোকিওর ইম্পেরিয়াল প্যালেসে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এসময় পারস্পরিক কুশল বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন তারা৷

চারদিনের জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট আকিহিকো তানাকার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি৷ স্থানীয় সময় বুধবার সকালে জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেস স্টেট গেস্ট হাউসে এই সাক্ষাৎ করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুলশাহানা ঊর্মি৷

জাইকা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় দেশটির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের৷ সাক্ষাৎপর্বের শুরুতে দেখা করেন বাংলাদেশ-জাপান কমিটি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান ফুমিও কুকোবু৷ এরপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাইকা প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা৷ এসময় তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন৷

পরে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জেট্রোর চেয়ারম্যান ও সিইও ইশিগুরো নোরিহিকো৷ পাশাপাশি ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টরি ফ্রেন্ডশিপ লীগের প্রেসিডেন্ট তারো আসো৷ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন৷

এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে পাঁচটায় টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গী৷ বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই সানসুকে ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ অভ্যর্থনা জানান৷ এ সময় জাপান সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়৷ লালগালিচা সংবর্ধনার পরে তাকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়৷

দ্বিপাক্ষিক সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনা ও একটি বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন৷ ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিওতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং জেট্রোর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন৷

জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ছাড়াও শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ তিনি জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকসহ আরও কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন৷ জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করবে৷

জাপান সফর শেষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন যাবেন৷ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বৃহস্পতিবার (০৪ মে) যাবেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে৷ ত্রিদেশীয় সফর শেষে আগামী মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

জেকে/জেডএইচ (ডেইলি স্টার, ইত্তেফাক)