বাংলাদেশে রোবট নিয়ে গবেষণা
৩১ মে ২০১৪বাঙালি রোবট তৈরি করে ২০১৩ সালে সাড়া জাগায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী৷ সাদলী সালাহউদ্দিন ও সৌমিন ইসলামের এই রোবটকে বাংলায় ‘ডানে যেতে' বললে সেটি ডানে যেতে পারে৷ বাংলা ভাষা বোঝা এই রোবট দেখতে ছোট হলেও এটির কাজের ক্ষেত্র হতে পারে অনেক৷ এমনকি হাজার হাজার মাইল দূর থেকেও এটিকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব৷
মাত্র তিন হাজার টাকায় বাংলা জানা এই রোবট তৈরি সম্ভব বলে জানান সাদলী৷ তাঁরা চান, বিনোদন নয় বরং মানব কল্যাণে এই রোবট ব্যবহার করতে৷ বিশেষ করে হুইল চেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন রোবট৷
বাংলা বলা রোবটেই সীমিত নেই বাংলাদেশের রোবট গবেষণা৷ চলতি বছরের শুরুতে বাংলার আকাশে সফলভাবে মনুষ্যবিহীন ড্রোন উড়াতে সক্ষম হন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) চার শিক্ষার্থী৷ তিন ফুট লম্বা এই বিমান তৈরি করেছেন সৈয়দ রেজওয়ানুল হক, রবি কর্মকার, মারুফ হোসেন ও সৈয়দ উমর ফারুক৷ তাঁদের সহায়তা করেছেন সাস্টের অনেক শিক্ষার্থী৷
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সাস্টের ড্রোন আকাশে ওড়ার পর এ ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)৷ বিবৃতিতে ড্রোন উড্ডয়নে বিধিবিধান মানার অনুরোধ জানানো হয়৷ ড্রোনের সঙ্গে বেসামরিক বা সামরিক বিমানের ধাক্কা লাগার শঙ্কা তাদের!
শুধু আকাশ নয়, পানির নীচে চলাচল উপযোগী রোবট নিয়েও গবেষণা হচ্ছে বাংলাদেশে৷ অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) চার শিক্ষার্থীর তৈরি করেছেন রোবট সাবমেরিন৷ এই রোবট ব্যবহার করে সমুদ্রের গভীরে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে৷
রোবট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও হাজির হচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা৷ চলতি বছরের শুরুতে ভারতের বাণিজ্য নগর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবটিক্স চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ‘রানার আপ' হয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি প্রকল্প৷ আর গত বছর নাসার লুনাবোটিকস মাইনিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া পঞ্চাশটি দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশও৷ এভাবে রোবট গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা৷ পরিধি সীমিতি হলেও উদ্যোগ ক্রমশ বাড়ছে৷