বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর প্রস্তুতি সন্তোষজনক
৯ জানুয়ারি ২০১০লরগাত বলেন, ''ঢাকায় আসার পরই বিশ্বকাপের আমেজ উপলব্ধি করতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা৷'' তিনি বলেন,'আমার বিশ্বাস ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরার এটা একটা দারুণ সুযোগ৷ দেশের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিসিবি নিশ্চয়ই বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করতে পারবে৷'' বিশ্বকাপ আয়োজন কমিটির সভাপতি শরদ পাওয়ার বলেন, ''আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, এটা অত্যন্ত সফল একটি ইভেন্ট হবে৷'' তাঁরা আশা করেন, বিশ্বকাপের অন্য দুই সহ-আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ৷
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শরদ পাওয়ারকে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানানো হয়৷ উল্লেখ্য, ১৪ জাতির এই টুর্নামেন্টের ২৯ টি ম্যাচ হবে ভারতের আটটি ভেন্যুতে৷ এছাড়া শ্রীলঙ্কার তিনটি ভেন্যুতে ১২ টি ম্যাচ এবং বাংলাদেশের দু'টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আটটি ম্যাচ৷
এদিকে, ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠের পিচ 'ঝুঁকিপূর্ণ' হওয়ায় গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ বাতিলের প্রেক্ষিতে বিশ্বকাপের জন্য সেটির ভাগ্য নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি৷ শনিবার লরগাত বলেন, ''এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করাটা বেশি তড়িঘড়ি হয়ে যায়৷'' তিনি বলেন, ''আইসিসি'র প্রধান ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাডুগালে এবং ক্রিকেট অপারেশনস এর প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন এ বিষয়ে কী করা উচিত তা বিবেচনা করবেন৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়