বাংলাদেশে বজ্রপাতে নিহত ২২
২০ জুন ২০১৭রবিবার এবং সোমবার ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের আঘাতে এসব প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রিয়াজ আহমেদ৷ নিহতদের মধ্যে এবং দম্পতি এবং তাঁদের সন্তান রয়েছেন যারা বজ্রপাতের সময় বাদাম ক্ষেতে কাজ করছিলেন৷
বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে অসংখ্য মানুষ মারা যান৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ পাশাপাশি বনের পরিমাণ এবং উঁচু গাছেরসংখ্যা কমে যাওয়াকেও বজ্রপাতে মৃত্যুর কারণ মনে করছেন তাঁরা৷ বড় গাছগুলো আগে বিজলীদণ্ডের কাজ করতো৷ ফলে প্রাণহানি কম হতো৷
গতবছর বজ্রপাতে দু'শোর বেশি মানুষের প্রাণহানির পর এটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ৷ সেবছরের মে মাসে একদিনেই বজ্রপাতে প্রাণ হারান ৮২ ব্যক্তি৷
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের মৃতের সংখ্যা আনুষ্ঠানিক হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি৷ কেননা অনেকক্ষেত্রে এ ধরনের মৃত্যুর খবর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় না৷ একজন স্বাধীন গবেষকের হিসেব অনুযায়ী, শুধুমাত্র গতবছর বজ্রপাতের মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪৯৷
এরকম প্রাণহানি এড়াতে গতবছর বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করছেন এবং শেষমেষ দেশজুড়ে দশলাখ নতুন তাল গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর বজ্রপাতের আঘাত এড়াতে করণীয় নিয়ে ২০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷
উল্লেখ্য, গতসপ্তাহে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিধসে ১৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং কয়েকশত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে৷ প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে৷
এআই/ডিজি (এএফপি, এপি)