1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ফেসবুক আবার উম্মুক্ত

৬ জুন ২০১০

জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ৷ ফলে এক সপ্তাহ পর আবার ফেসবুকে ঢুকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীরা৷

https://p.dw.com/p/NjDo
ফাইল ফটোছবি: AP

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, বাংলাদেশের বেসরকারি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাঙ্গো টেলিকম শনিবার রাতে ফেসবুক আবার খুলে দেয়৷ সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি'র নির্দেশ পাবার এক মিনিট পরই ম্যাঙ্গো টেলিকম ব্লক তালিকা থেকে ফেসবুককে সরিয়ে নেয়৷

বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজটোয়েন্টি ফোর ডট কম জানাচ্ছে, শনিবার রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে ফেসবুক উম্মুক্ত করা হয়েছে৷

এদিকে, এই ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ফেসবুকেই তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন৷ জনপ্রিয় ফেসবুকার মাহবুব মানিক লিখেছেন, ‘‘ওয়াও!!! ফেসবুক উম্মুক্ত!!!''

বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ৷ স্বভাবতই সংস্থাটির ওপর এহেন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে৷ ফেসবুক উম্মুক্ত হবার পর আলোকচিত্রী আসাদ আব্দুল্লাহ তাই বলছেন, ‘‘মাঝখান থেকে ফেসবুকের একটা চরম মার্কেটিং হয়ে গেলো বাংলাদেশে৷ বুঝা গেলো ফেসবুক কতটা পপুলার৷''

তবে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভিন্ন মতটি প্রকাশ করেছেন ব্লগার এবং লেখক আরিফ জেবতিক৷ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি বলিলাম, ‌‘এক সপ্তাহ পর উহারা বুঝিতে পারিয়াছে৷' প্রভু জিজ্ঞাসিলেন, ‘কী বুঝিয়াছে? ফেসবুক তরুণদের রোজকার বিষয়, উহাকে ব্যান করিয়া লাভ নাই?' আমি বলিলাম,‘ফেসবুকের না আছে চ্যানেল ওয়ানের মতো যন্ত্রপাতির ঝামেলা, না আছে আমার দেশের মতো প্রকাশকের ঝামেলা৷ এক সপ্তাহ খুঁজাখুঁজির পর উহারা বুঝিতে পারিয়াছে, ফেসবুক আসলে বিদেশী প্রতিষ্ঠান, এটি ফকিরাপুলের প্রতিষ্ঠান নহে৷'''

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে হঠাৎই বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়৷ এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করে, মূলত দুই নেত্রীর ব্যঙ্গাত্বক ছবি প্রকাশসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, এমন কার্টুন প্রতিযোগিতা আয়োজনের কারণে ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা হয়৷ এই বিষয়ে বিটিআরসি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বিতর্কিত পাতা ও কার্টুনগুলো সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ বিটিআরিসি'র দাবি, ফেসবুক তাদের অনুরোধ রক্ষা করেছে৷ তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী