জঙ্গি অর্থায়নের বিশাল নেটওয়ার্ক
২৬ আগস্ট ২০১৩এদিকে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অর্থায়নে শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে৷
ঢাকায় তিন দিনের এই সম্মেলনে মর্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, জনগণকে শান্তিতে বসবাসের নিশ্চয়তা দিতে হলে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কারণ, এটা বন্ধ করা না গেলে জঙ্গিবাদ বন্ধ করা কঠিন হবে৷ তাই সবাইকে একত্রভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হবে৷
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত জঙ্গি অর্থায়ন নিয়ে ঠিকই বলেছেন৷ বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়নের নেটওয়ার্ক বেশ শক্ত৷ তিনি জানান, এই অর্থ আসে ইসলামি চ্যারিটি, চাঁদা এবং ছোট ও বড় ব্যবসা থেকে৷ এদের অর্থ আছে বলেই একটি দমন করলে আরেকটি জঙ্গি সংগঠন গজিয়ে ওঠে৷ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নতুন নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ তারই প্রমাণ৷
তিনি বলেন, এই জঙ্গি অর্থায়নের পিছনে ইসলামের নামে প্রকাশ্য রাজনৈতিক দলও জড়িত৷ তাদের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে৷ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটি অংশ জঙ্গি তত্পরতায় ব্যবহৃত হয়৷ তাদের একটি ব্যাংকের বিরুদ্ধেও জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ আছে৷
আব্দুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে দেশে জঙ্গি অর্থায়ন রিরোধী এবং মানিলন্ডারিং বিরোধী আইন আছে৷ কিন্তু এই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়েই জঙ্গি অর্থায়ন অব্যাহত আছে৷ তাই প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং মনিটরিং জোরদার করা৷ বাংলাদেশে জনবল এবং দক্ষতার অভাব আছে বলেও মনে করেন তিনি৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে হবে৷ তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং তথ্য কাজে লাগাতে হবে৷ কারণ বাংলাদেশের অনেক জঙ্গি সংগঠনেরই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময় জঙ্গি তত্পরতা আবার বেড়ে যাচ্ছে৷ তারা নানা ইস্যু নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছে৷ তাদের প্রকাশ্য সংগঠনও আছে বলে মনে করেন তিনি৷ তাই সরকারকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ আর জঙ্গি বিরোধী জন-সচেতনতার পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে রাজনৈতিক ঐক্য৷