1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ক্রীড়াবিদদেরই অর্থ ও মর্যাদা কম

সনৎ বাবলা
১১ জানুয়ারি ২০২৫

রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর গোপনে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেওয়ার খবর নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে দেশে৷

https://p.dw.com/p/4p2we
রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী (মাঝে)৷ ফাইাল ফটোছবি: Atiqul Islam Aleem/DW

তারকা আর্চার দম্পতির দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বেশ শোকের। বিশেষ করে সংগঠক শ্রেণির কারো কারো কাছে এটা ক্ষোভের – ‘‘কেন তারা এভাবে যাবে?’’ আবার কেউ কেউ বিশাল দেশপ্রেমী সেজে দেশের সম্মান ভুলুন্ঠিত করার অপরাধে তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন।

সব খবরই রোমান দেখছেন। তার ইনবক্সে পাঠানো খবরগুলোও পড়ছেন, দেখছেন। সঙ্গে ‘লাভ' বা ‘লাইক’ প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি চুপ করে থাকেন। অবশ্য বাংলাদেশের এই অলিম্পিয়ানের যে মানসিক গড়ন বা তাকে যতটুকু চেনা, তাতে তিনি চুপ করে থাকার মানুষ নন। জীবনে ঘাম ঝরিয়ে তার যতটুকু অর্জন, জাতীয় পাতাকা উড্ডীন করে বড় কর্তাদের মুখোজ্জ্বল করার যে প্রয়াস, এসবের বিনিময়ে কী পেয়েছেন এ নিয়ে তিনি হিসাবের খাতা খুলে বসতে পারেন যে কোনো মুহূর্তে। প্রশ্ন তুলতে পারেন দেশের অসম ক্রীড়া ব্যবস্থা ও ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে, যাদের ওপর বিশ্বাস রেখে তিনি বড় স্বপ্নে চোখ রাঙিয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন কেন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে, এই প্রশ্নটা তিনি করতেই পারেন।

দেশের ক্রীড়া ব্যবস্থার ওপর অ্যাথলেটদের বিশ্বাসটা ভাংতে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে। যেখানে বিশ্বাস বেশি, সেখানে অবিশ্বাস আসে আরো সহজে। শ্রদ্ধাটা রঙিন কাঁচের পুতুল, চকমক ঝকঝক করে, যখন ভাঙে ,তখন একেবারেই ভাঙে, শুধু কতগুলো ধারালো খণ্ডাংশ ছড়িয়ে থাকে রক্তাক্ত করবার জন্য, প্রশ্নবানে জর্জরিত করার জন্য। কেন তাদের দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে? দেশ তাদের কী দিয়েছে?

এদেশ তার ক্রীড়াঙ্গনের সূর্যসন্তানদের ধরে রাখতে পারেনি। তাদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা ও প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়ে আগলে রাখতে পারেনি। অ্যাথলেটিকস তারকা সাইদুর রহমান ডন, শাহান উদ্দিন, শাহজালাল মোবিনকে দিয়ে শুরু দেশান্তরী হওয়ার মিছিলটা ক্রমেই বড় হচ্ছে। রোমান-দিয়া ওই মিছিলে সর্বশেষ সংযোজন কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে তারা আর্চারিকে না জানিয়ে নিঃশব্দেই দেশ ছেড়েছেন।

জীবন ও জীবিকার অনিশ্চয়তাই কারণ

সর্বশেষ রোমান-দিয়া দম্পতির দেশান্তরী হওয়া নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে এখন তুমুল শোরগোল। এর কার্যকারণ খুঁজতে গিয়ে জীবন ও জীবিকার অনিশ্চয়তার কথাই বেশি করে উঠে আসছে। দেশের তারকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধুরীর স্পষ্ট কথা, "কেউ শখ করে দেশ ছেড়ে যায় না। যোগ্যতার অবমূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কারণে খেলোয়াড়রা বিদেশে গিয়ে থিতু হতে চায়। এখানে চাকরির কোনো নিশ্চয়তাও নেই, খেলা ছাড়লে তো কিছু পাওয়ার আশাও নেই, তাই বেঁচে থাকা কঠিন।” এদেশে খেলোয়াড়দের জীবন বড় কঠিন। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে বাকি ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাও দায়। বিজয়ের গৌরব থাকলেও তাদের না থাকে সাচ্ছ্বল্যের সুখ ও জীবনের আনন্দ।

ফারুকুল ইসলাম বলছেন, দেশের ক্রীড়াবিদদের মনে এই সুখ ও আনন্দের সুরভী ছিল ১৯৯০ সাল পর্যন্তও। ক্রীড়াঙ্গনে তার অনেক অভিজ্ঞতা, নিজের অ্যাথলেট জীবন শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিকেএসপিতে পরিচালক পদে কাজ করেছেন। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনে থেকে সংগঠকের চোখে দেখেছেন এই ক্রীড়াঙ্গন ও খেলোয়াড়দের। প্রবীণ সংগঠক ফারুকুল ইসলামের বিশ্লেষণ হলো, ‘‘স্বাধীনতার পর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তো কেউ দেশ ছেড়ে যায়নি। না যাওয়ার কারণ তখনকার খেলোয়াড় বা অ্যাথলেটদের চাকরির জায়গা ছিল। বিটিএমসি, বিজেএমসি, বিমান, সরকারি ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তারকা অ্যাথলেটরা চাকরি করতেন। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও ছিল তাদের জন্য। জীবিকার পাশাপাশি অ্যাথলেটদের সামাজিক মর্যাদাও ছিল। বলতে পারেন, তখন খেলোয়াড়দের জীবন সাজানোরও একটি উপায় হিসেবে ছিল খেলা।”

Bangladesch Dhaka 2024 | Sanat Babla, Sportjournalist, arbeitet für nationale Tageszeitung
সনৎ বাবলা, সাংবাদিকছবি: Privat

তার চোখে এখনকার বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন, ‘‘এখন দেখবেন, যে কোনো ডিসিপ্লিনের তারকাদের ভালো চাকরি নেই, সম্মানও নেই। সেরা অ্যাথলেট হিসাবে পত্রিকায় ছবি ছাপা হলেও সমাজে তার দু-পয়সার মূল্য নেই। হয়তো দেখা যায়, স্টেডিয়ামের কোনো ইভেন্টেও তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা হলো আমাদের এখনকার ক্রীড়াঙ্গনের খুব রূঢ় সত্যি।”

ফারুকুল ইসলামের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উন্নত জীবনের জন্য খেলোয়াড়দের দেশান্তরী হওয়া শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে। শুরু ১৯৯৪ সালে স্প্রিন্টার সাইদুর রহমান ডনকে দিয়ে। এরপর দেশ ছেড়ে যায় নব্বইয়ের দশকের তারকা অ্যাথলেটদের বিশাল এক দল। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরাও বিদেশগামী হতে শুরু করেন একটু ভালো থাকা ও জীবনের নিশ্চয়তা খোঁজার জন্য। এদেশে অ্যাথলেট জীবনের দাম বড় কম। আপনি সাফল্যের চূড়ায় উঠে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবেন, কর্তারা তার সুখানুভূতি অনুভব করবেন তবে আপনার জীবন-মানে খুব বদল আসবে না। এমনও দেখতে পারেন, আপনার সাফল্যের অংশীজন হয়ে সেই তারা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে গেলেন আর আপনি নিঃসঙ্গ হয়ে রয়ে গেলেন সেই তলানীতেই।

বড় অর্থনীতিতে বরং জীবন-মান কমেছে

ইতিহাস বলছে, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে অ্যাথলেটরা উন্নত জীবনের মোহে দেশ ছাড়ছেন। অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ১৯৯০ সালের অর্থনীতির চেহারা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। ১৯৯০-৯১ সালের বাংলাদেশের বাজেট ছিল মাত্র ১২,৯৬০ কোটি টাকার আর ১৯৯০ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ৩১.৬ বিলিয়ন ডলার। জিডিপি মানে একটি নির্দিষ্ট

সময়ের মধ্যে দেশের ভেতর উৎপাদিত সব পণ্য ও পরিষেবার বাজার মূল্য। ওই সময় দেশের অর্থনীতির আকার এত ছোট থাকলেও অ্যাথলেটদের জীবনে মাধুর্য ছিল। জয়ের উল্লাসের পাশাপাশি সেই সুখের গভীরতাও ছিল তাদের জীবনে।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, অর্থনীতির আকার যখন বড় হয়েছে তখন অ্যাথলেটদের নির্বিঘ্ন-নিশ্চিন্ত জীবন ফুরোতে বসেছে! ২০২৪-২৫ সালের বাজেট প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা আর জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির এমন অবিশ্বাস্য উল্লম্ফন হলেও তার এতটুকু ছোঁয়া লাগেনি অ্যাথলেটদের জীবনে। আগে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটদের বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যংকে ভালো চাকরি ছিল, এখন বড়জোর সৈনিকের চাকরি। খেলার চেয়ে দু-বেলা স্যালুটেই লুকিয়ে আছে তার অ্যাথলেট জীবনের মহিমা।

সাবেক তারকা স্প্রিণ্টার ও এখনকার বিকেএসপির কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফির দুঃখ, ‘‘দেশের সবকিছুই এগিয়েছে, শুধু ক্রীড়াঙ্গনটাই পিছিয়ে আছে। এখানে উৎসাহিত হওয়ার মতো কিছু নেই। দেশের ১৫ বারের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রী শেষ করেও যখন একটা ভালো চাকরি খুঁজে পায় না তখন বুঝতে হবে ক্রীড়াবিদরা কী ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে আছে। খেলাধুলা করা এদেশে অভিশাপের মতো ব্যাপার হয়ে গেছে।”

ক্রিকেট-ফুটবলেই সুখের গ্যারান্টি

ব্যতিক্রম হলো ক্রিকেট ও ফুটবল। দেশজুড়ে ক্রিকেটের এমন জোয়ার এবং ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ক্রিকেটর একাডেমির রমরমা বাণিজ্য দেখলেই বোঝা যায় এ জাতি নতুন হুজোগে মেতেছে। মা-বাবাদের কাছেও ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের মতোই ক্রিকেট একটি আকর্ষণীয় পেশা। এই খেলায় অর্থ যশ খ্যাতি সবই আছে। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটারও প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল ও অন্যান্য টুর্নামেন্ট খেলে বছরে অন্তত ২০ লাখ টাকা আয় করতে পারে। জাতীয় দল হলে সেটা বেড়ে যাবে কয়েকগুন।

ফুটবলে আয়ের জায়গাটা শুধুমাত্র ক্লাব ফুটবল। ক্রিকেটের এমন জাগরণের মধ্যেও ঢাকার ক্লাবগুলো ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে আছে বলেই খেলাটা বেঁচে আছে। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৭০-৮০ লাখ হলেও একজন মাঝারি মানের ফুটবলার ১৫-২০ লাখ টাকা আয় করতে পারে এক মৌসুমে।

অ্যাথলেটিকস কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি আক্ষেপ করেন, ‘‘আমাদের দেশের ছোট খেলাগুলোর যদি ক্লাবের ভিত্তি থাকতো, তাহলে হয়তো খেলাগুলো টিকে থাকতো, খেলোয়াড়রাও বেঁচে যেতো। এই যেমন আর্চারির সেরা তারকা রোমান সানার দেশ ছাড়া মানে খেলাটি ও অন্যান্য আর্চারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে গেছে। খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা ও সুন্দর জীবন দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট খেলাটির বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।”

প্রতিবেশী ভারতের উদাহরণ টেনে কাফি বলেন, ‘‘পাতিয়ালায় কোচেস ট্রেনিং করার সময় ভোরে দেখি আমাদের পাশে এক ভদ্র মহিলা দৌড়-ঝাঁপ করছেন। তার নাম সুনীতা রানী, পুলিশে কমিশনার র‌্যাঙ্কের অফিসার এবং অ্যাথলেট হওয়ার সুবাদেই নাকি তার চাকরি হয়েছিল। আমাদের দেশে কি এটা সম্ভব! ভারতে মোটামুটি মানের ক্রীড়াবিদেরও চাকরি আছে। সেই ব্যবস্থা তো আমাদের নেই। সম্প্রতি ২৬ জন কোচ নিয়োগের সার্কুলার দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শর্ত প্রত্যেকের ডিপ্লোমা থাকতে হবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলে যে অগ্রাধিকার থাকতো এবার সেই শর্তটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে বুঝুন, আমরা কোথায় কীভাবে আছি।”

তারকা আর্চার দম্পতি রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী
তারকা আর্চার দম্পতি রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বেশ শোকের।ছবি: Atiqul Islam Aleem/DW

ভারতে ক্রিকেট-ফুটবলের যেমন মহাসমারোহ তেমনি বিশেষ নজর আছে অলিম্পিক ডিসিপ্লিনগুলোর প্রতিও। সরকার খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা ও সুখ-সাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে বলেই তাদের অ্যাথলেটরা অলিম্পিকে গিয়ে পদক জেতে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সেরা প্রতিভাগুলো জীবন-জীবিকা নিয়ে সংকটে থাকে এবং সুযোগ পেলে দেশ ছাড়ে।

সংকট সমাধানের উপায় কী

সংগঠক ফারুকুল ইসলাম সমস্যা দেখছেন দেশের সামগ্রিক ক্রীড়া ব্যবস্থায়, ‘‘এজন্য দায়ী আমাদের ক্রীড়া-ব্যবস্থা। সংগঠক, ফেডারেশন ও আমাদের মন্ত্রণালয়- কোনো জায়গা খেলোয়াড়-বান্ধব নয়। ক্রীড়াঙ্গনের মূল মানুষ খেলোয়াড়রাই। তারা ভালোভাবে থাকলে ক্রীড়াঙ্গনের যে সামগ্রিক মঙ্গল হবে, সেটাই উপলব্ধি করতে পারি না আমরা৷’’

কোনো খেলোয়াড় না থাকলে মাঠ, ফেডারেশন, মন্ত্রণালয়, ক্রীড়ামন্ত্রীরই-বা গুরুত্ব কী। অথচ বাংলাদেশে খেলোয়াড়দের মর্যাদাই সবচেয়ে কম। কোনোরকমের কাঠামো নেই, তারা স্রেফ ক্রীড়া উৎসাহ থেকেই খেলে, মাঝে মাঝে যে বিস্ময়কর কিছু সাফল্য আসে, সেগুলোও একদম তাদের নিজস্ব পরিশ্রম ও চেষ্টার ফসল। সেই তাদেরকে সর্বাঙ্গীনভাবে ভালো রেখে চোখে স্বপ্ন এঁকে দেওয়া গেলে, তাদের মাঠের ফল আরো ভালো হবে, তা বলাই বাহুল্য। তাতে ক্রীড়ামন্ত্রীর সুখ্যাতি হয়, জয়জয়কার হয়। এই সত্যিটাই উপলব্ধি করতে পারে না দেশের ক্রীড়া প্রশাসন।

তাই সবার আগে ক্রীড়ামন্ত্রীর হতে হবে ক্রীড়াবান্ধব। তিনি ক্রীড়ানুরাগী হলে ক্রীড়াঙ্গনে সম্পর্কের সেতুগুলো রচনা করা যায় সহজে। সব মন্ত্রণালয় বন্টনের পর যিনি বাকি থাকেন, তার কাঁধে ক্রীড়া তুলে দিলে ক্রীড়াঙ্গন কোনোদিনই সুন্দর ও আনন্দের হবে না। ফারুকুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘ক্রীড়াঙ্গনের সমস্যগুলো বোঝার জন্য ক্রীড়ানুরাগী লোকজনই দরকার। অ্যথলেটরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, এর পেছনে শুধু জীবনের অনিশ্চয়তা নয়, জড়িয়ে আছে সামগ্রিক ক্রীড়া ব্যবস্থা। ক্রীড়া পরিষদ, পরিদপ্তর, বা বিকেএসপি- সব অফিস চালান আমলারাই। তারা তো ক্রীড়াঙ্গনের বাস্তবতা বোঝেন না- বোঝেন ক্রীড়াঙ্গনের লোকজনই। তাই ওসব অফিসে ক্রীড়াঙ্গনের লোকদেরই পদায়ন করতে হবে৷’’