বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক মেয়ে আকারে খাটো
১ জুন ২০১৭পহেলা জুন ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য প্রটেকশন অফ চিলড্রেন’ উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এই প্রতিবেদন তৈরি করে শিশু বিষয়ক ঐ সংস্থাটি৷ এতে ১৭২টি দেশের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ নম্বরে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়, শৈশব মানে হচ্ছে শিশুরা খেলবে, শিখবে, নিরাপদ বোধ করবে এবং এভাবেই বেড়ে উঠবে৷ কিন্তু বিশ্বের প্রতি চার জনের মধ্যে একজন শিশুর শৈশব হারিয়ে গেছে৷ ‘‘৭০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু এমন সমাজে বাস করে, ‘যেখানে তারা অন্য শিশুদের মতো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি’ সুবিধা পায় না,’’ বলছে সেভ দ্য চিলড্রেন৷ রোগ, অপুষ্টি, বোমা, বুলেট – এসব বিষয় শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন দেশে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে খর্বাকৃতির হার বেশি৷ তবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, যেমন, দক্ষিণ এশিয়ায় ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়া - এসব কারণে ঐ অঞ্চলের কিশোরীদের শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়৷ ফলে দেখা যায়, কয়েকটি দেশের প্রায় অর্ধেক কিশোরী আকারে ছোটখাটো৷ যেমন ভারতে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের এক-তৃতীয়াংশ খর্বাকৃতির৷ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৪৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক৷
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদন বলছে, শিশু যদি পর্যাপ্ত খাবার ও পুষ্টি না পায়, তাহলে তাদের শারীরিক বৃদ্ধি যথেষ্ট না-ও হতে পারে৷ সংস্থাটি ১০টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে বিশ্বের মোট খর্বাকৃতি শিশুর (৫ বছরের কমবয়সি) দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আছে আট নম্বরে৷ বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ লক্ষ শিশুর দৈহিক আকার এমন বলে জানানো হয়েছে৷
‘এন্ড অফ চাইল্ডহুড’ সূচক অনুযায়ী, পশ্চিম ও সেন্ট্রাল আফ্রিকার শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ৷ তালিকার একেবারে শেষ দশটি দেশের সাতটিই ঐ এলাকার৷ তালিকার শীর্ষে যৌথভাবে আছে নরওয়ে ও স্লোভেনিয়া৷
জেডএইচ/এসিবি (সেভ দ্য চিলড্রেন, রয়টার্স, ডিপিএ)