বাংলাদেশের ঘটনায় ফিলিপাইন্সে আইন পরিবর্তন
২৮ মার্চ ২০১৭ফিলিপাইন্সের সেনেটের প্রেসিডেন্ট একুইলিনো পিমেন্টেল সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা যে বিলের খসড়া তৈরি করেছেন তাতে অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনের ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে৷ আগামী মে মাসে বিলটি অনুমোদন পেতে পারে৷ এরপর এই বছরের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে দিয়ে বিলটি স্বাক্ষর করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷
আইনে পরিবর্তন আসলে ক্যাসিনোগুলোকে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কোনো বাজির দর ৬০ হাজার ডলার বা তার বেশি ধরা হলে সেই তথ্য দেশটির অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সংস্থাকে জানাতে হবে৷ এছাড়া ক্যাসিনো কর্তৃপক্ষকে ক্রেতাদের পরিচয় সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানতে হবে৷
পিমেন্টেল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ নিয়ে তদন্তের প্রেক্ষিতেই নতুন বিল আনা হচ্ছে৷ বর্তমানে বলবৎ থাকা অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইন ও কঠোর ব্যাংক সিক্রেসি আইনের কারণে চুরির অর্থ কোথায়, কীভাবে, কার সাহায্যে খরচ হয়েছে তা খুঁজে পাওয়ার কাজটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে৷
নিউ ইয়র্কের ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মাত্র এক পঞ্চমাংশ অর্থ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে৷
উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে ফিলিপাইন্সে ক্যাসিনোর বড় বাজার রয়েছে৷ গত বছর এই খাত থেকে প্রায় ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে৷
ক্যাসিনোর মালিকদের প্রভাবের কারণে এতদিন প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর অনুমোদন নেয়া যায়নি৷ তবে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে মাদক পাচারকারীদের অর্থের প্রবাহ ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের কাজ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷ এই ব্যাপারটিও আইনে সংশোধনী আনার বিষয়টি সহজ করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)