বাংলাদেশসহ এশিয়ায় দারিদ্র্য বাড়বে
১২ জুন ২০২০বিশেষ করে মধ্যআয়ের দেশগুলোতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়বে বলে জানিয়েছেন কিংস কলেজ লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির গবেষকরা৷
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইন্সসহ এশিয়ার দেশগুলোর কথাও বলা হয়েছে৷ করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তার রোধে লকডাউন ঘোষণা করায় এসব দেশের অর্থনীতিতে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে তার ধাক্কা কাটিয়ে উঠা সহজ হবে না বলেই মত গবেষকদের৷
গবেষকদের একজন কিংস কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ের অধ্যাপক অ্যান্ডি সামনার বলেন, ‘‘উন্নয়শীল দেশগুলোতে এই মহামারি দ্রুত অর্থনৈতিক সংকটে পরিণত হবে৷’’
মধ্যআয়ের দেশগুলোতে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার সামান্য উপরে বাস করেন৷ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তাদের আয় হ্রাস পাবে৷ মহামারি একটি দেশের অর্থনীতিকে যে ঝাঁকুনি দেয় তাতে এই মানুষদের ভবিষ্যৎ সবচেয়ে বেশি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে৷
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করা মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা গবেষকদের৷ বিশ্বে এখন প্রায় ৭০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে৷ এ সংখ্যা বেড়ে একশ কোটির বেশি হবে৷
সামনার বলেন, ‘‘এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বে দারিদ্র্য হ্রাসের প্রক্রিয়া ২০, এমনকি ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে৷’’
গবেষকরা এই সংকট মোকাবেলায় দ্রুত বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷
কিন্তু আপাতত বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার লক্ষণ তেমন দেখা যাচ্ছে না৷ ক্যাম্প ডেভিড এ ১০ থেকে ১২ জুন ‘গ্রুপ অব সেভেন’ (জি-৭) নেতাদের যে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনাগ্রহের কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
গ্রুপের বাকি দেশগুলো রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত৷ সেপ্টেম্বরে সম্মেলন হলেও মহামারি থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা কতটা এগুবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷
এসএনএল/এসিবি (এপি)