ডয়চে ভেলেতে ড. আইনুন নিশাত
২১ জুন ২০১৩ড. নিশাত বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারের জন্য চাপ বাড়ছে৷ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর তাগিদেই সেটা ঘটছে৷ তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে পেট্রোল, ডিজেল, কয়লার ব্যবহার কমাতে হবে৷ সৌর ও বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে কাজ চলছে৷ আর্থিক সুবিধার কারণে পশ্চিমা জগতে এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে, এমনকি বেসরকারি পর্যায়েও৷
ড. আইনুন নিশাতের মতে, বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটছে বলা চলে৷ প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার বাড়িয়ে সৌরবিদ্যুৎ লাগানো হচ্ছে৷ অর্থাৎ এই বিদ্যুতের পরিমাণ বেশি নয়, মাত্র ১০০ থেকে ২০০ ওয়াট৷ বড় আকারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে মেগাওয়াট পর্যায়ে যেতে হবে৷ বাংলাদেশ সরকার এই লক্ষ্যে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷ ফোটো ভোল্টায়িক ও সৌলার থার্মাল – দুটি পদ্ধতিতে সৌরশক্তি কাজে লাগানো সম্ভব৷ আফ্রিকার মরুভূমিতে সোলার থার্মাল পদ্ধতি প্রয়োগ করছে ইউরোপের দেশগুলি৷
সৌরশক্তি উৎপাদন করে গ্রিডে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন অধ্যাপক ড. নিশাত৷ মেঘ ও বৃষ্টির কারণে সব সময় সৌরবিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব নয়৷ তা ধরে রাখতে স্টোরেজ বা ব্যাটারি চাই৷
এসবি/ডিজি