বহুল আলোচিত পানি বন্টন চুক্তি আর হলো না
৭ সেপ্টেম্বর ২০১১বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং-এর মধ্যে বৈঠকের পর যে একটি মাত্র চুক্তি সই হয় তা হল - আঞ্চলিক সহযাগিতা রূপরেখা চুক্তি৷
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তিস্তা ও ফেনী নদী নিয়ে পানি চুক্তি সই হয়নি৷ আর ট্রানজিট নিয়ে পত্র বিনিময় প্রটোকলও সই হয়নি৷
চুক্তির বাইরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়ছে এগুলো হল - ১.বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে বিদ্যমান রেলওয়ে চুক্তির আওতায় নেপালকে সংযুক্ত করা৷ ২.নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংক্রান্ত সহযোগিতা৷ ৩. বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং দূরদর্শনের মধ্যে সহযোগিতা৷ ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির মধ্যে সহযোগিতা এবং ৫. সুন্দরবন রক্ষায় দু'দেশ একযোগে কাজ করা৷ এছাড়া সই হয়েছে সীমানা নির্ধারণ প্রটোকল৷ এর বাইরে ভারত বাংলাদেশের ৪৬ ধরনের গার্মেন্টস পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে৷আর তিনবিঘা করিডোর খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাতে যৌথ ঘোষণায় দু'দেশের সম্পর্ক, যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন৷
আজ সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের সিনেট হলে ‘বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া' শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন৷ এরপর তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ সন্ধ্যায় তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক