বসনিয়ার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবেতর জীবন
বসনিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ১৫ ডিগ্রিতে৷ এই তীব্র শীতে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন কয়েকশ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ ছবিঘরে বিস্তারিত৷
ভেলিকা ক্লাদুসার জঙ্গল
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে ভেলিকা ক্লাদুসা গ্রামের জঙ্গলের ভেতর আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ থাকছেন পলিথিনের তাঁবুতে৷ প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে ঘুমাতে পারেন না তারা৷ জানালেন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী শাহীন৷ ছোট্ট একটা পলিথিনের তাঁবুতে থাকছেন তিনি৷
মাথার উপর নেই ছাদ
ক্রোয়েশিয়া সীমান্তের কাছে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলগুলোতে আছে অনেক শিশু৷ ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কেউ এসেছেন পরিবারসহ , কেউবা একা৷ প্রচণ্ড শীতে খোলা আকাশের নীচেই জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছেন তারা৷ ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত পার হয়ে ইউরোপের অন্য কোনো দেশে গিয়ে আশ্রয় নিতে চান তারা৷
নির্ঘুম রাত
কেউ কেউ পরিত্যক্ত ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন৷ এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই কয়েক মাস ধরে বলতে গেলে ঘুমাতেই পারেন না৷ কারণ, রাত হলেই ক্রোয়েশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করেন৷ সীমান্তরক্ষীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে আবারো ফিরে আসেন৷ আর এর পাশপাশি তীব্র শীতের যন্ত্রণা তো আছেই৷
অন্তহীন সমস্যা
আফগানিস্তান থেকে আসা মোহাম্মদ খান বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘এত ঠান্ডা যে শীতে জমে যাচ্ছি৷ এখানে খাওয়ার পানি নেই৷ রান্নার ব্যবস্থা নেই৷ অন্য সমস্যা তো আছেই৷’’
লিপা ক্যাম্পে ফেরত
ভেলিকা ক্লাদুসা’র কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রটি খুলে দিতে রাজি না হওয়ায় অনেককে এখান থেকে জোর করে লিপা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে৷ এইসব অভিবাসনপ্রত্যাশী ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি বসনিয়ার অধিবাসীদেরও আক্রোশের শিকার হচ্ছেন৷
লিপা ক্যাম্পের অবস্থা
লিপা ক্যাম্পে তাপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুর ব্যবস্থা থাকলেও আড়াই হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন সাধারণ অস্থায়ী তাঁবুতে৷ পাকিস্তানের এক অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরো নিউজকে বলেন, ‘‘লিপা ক্যাম্পের অবস্থা খুব খারাপ৷ আমরা ভীষণ খারাপ অবস্থায় আছি৷ দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন৷’’
বসনিয়ার সমালোচনা
তীব্র শীতের মধ্যে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়ায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে বসনিয়ার সরকার৷