1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিটি করপোরেশন নির্বাচন

২৭ এপ্রিল ২০১৫

বাংলাদেশে তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব৷ চলছে নানারকম আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/1FFU3
Bangladesch Parlamentswahlen
ছবি: AFP/Getty Images

পারভেজ আলম ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে যে শেখ হাসিনার আমলে এমনি ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, যে তার সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা রাজনৈতিক দলগুলিকে তিনি মেয়র নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিলেন, অতঃপর নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা পিটিয়েছিলেন৷''

আরিফ হোসেন লিখেছেন, ‘‘এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেই মেয়র হোক, আশা করি আমাদের বর্তমান মিডিয়া থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন৷ কারণ, সব মেয়র প্রার্থীকেই দেখলাম ভোটের জন্য রাস্তায় রাস্তায় সবার সাথে হাত মিলাচ্ছেন....ময়লা ঝাড়ু দিচ্ছেন....রিকশাচালকদের বুকে টেনে নিচ্ছেন....আর তাই, মিডিয়ার কাছে যেহেতু সব রেকর্ড আছে, আশা করি থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব তারাই পালন করে যাবে৷''

Bangladesch Dhaka Wahlkommission Gebäude
ছবি: DW

একই প্রসঙ্গ টেনে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সজীব লিখেছেন, ‘‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অন্তত ৬ মাস পিছিয়ে দেওয়া উচিত৷ তাহলে দেখা যেত কে কতদিন রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে, কে কত বস্তা ময়লা কুড়াচ্ছে, কে কতদিন বস্তির শিশুটিকে কাঁধে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷''

সানজিদা সাজ ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের নির্বাচন মানে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম৷ কারণ, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশংকা৷ আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন এ অংশগ্রহণ করতে৷ আমরা এও প্রত্যাশা করছি যে, এবারের নির্বাচন পরবর্তী দৃশ্য থেকে শুধু আমাদের দেশের মানুষই না সারা পৃথিবী শিখবে৷''

ফেসবুক পাতায় টোটেম ঠাকুর লিখেছেন, ‘‘আগামীকাল ভোট৷ আমরা সব সময় রাজনীতিবিদদের গালিগালাজ করি৷ এবার দেখা যাক জনগণ কতটা ইমানদারির সঙ্গে ভোট দেয়, কতটা হুজুগে আর কতটা নিজের শিক্ষাকে ববহার করে৷''

হোসেইন মীর লিখেছেন, ‘‘লেট নাইট শেষে রাতে বাসায় ফিরছি৷ হাতিরঝিল হয়ে মহানগর প্রজেক্টে ঢুকতেই দেখি অসংখ্য ছেলেপুলে৷ দেখি ২৫-৩০ বছরের ছেলেগুলো বিভিন্ন জায়গায় টাঙিয়ে দেয়া পোস্টার খুলে ফেলছে৷ আমার অবাক হওয়া দেখে সিএনজি ড্রাইভার বললো, স্যার, এরা সব ছাত্রলীগের ক্যাডার৷ এরা রাতের মধ্যেই আওয়ামী লীগ বাদে অন্য প্রার্থীর পোস্টার খুলে ফেলবে৷ বদলে দিতে চাইলে সম্ভাব্য সব হাতিয়ারকে কাজে লাগাতে হয়৷''

পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘‘আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতনের পথসভায় আওয়ামী লীগের হামলা হয়েছে৷ আক্রমণকারীদের প্রায় সকলকেই চিহ্নিত করা গেছে, সবাই শাসক দলের সাথে যুক্ত৷ অনেকে আহত হয়েছে৷ এই ঘটনায় আমার আনন্দিত হওয়া উচিত কিনা বুঝতে পারছি না৷ আনন্দিত হওয়ার কারণ হতে পারে এটাই যে, শাসক দল এখন সিপিবি বাসদকেও কাউন্ট করছে গুরুত্বের সাথে৷''

টুইটারেও অনেকেই নির্বাচন নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন শেয়ার করছেন, করছেন টুইট৷

আজহার হামিদ বিডি টুডে-র একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে টুইটারে লিখেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক৷''

দেওয়ান জাহিদ ও সেলিম সামাদ বাংলাদেশের দু'টি পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন, যেখানে জাতিসংঘ সিটি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

মো. হাবিবুর রহমান একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় অন্য দলের কর্মীদের উপর হামলা চালায় তখন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা আশা করব কেমন করে?

সুজিত সরকারের আশঙ্কা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতা ছড়াবে৷

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য