বরফ-জমা শীতে মরক্কোর পাহাড়-চূড়ার এক গ্রামে
শীতে মরক্কোর তিমাহদিতে গ্রামের মানুষ বাইরের জগত বলতে গেলে ভুলেই যান৷ বরফাবৃত গ্রামে এখন সেখানে এমন শীত যে বাধ্য না হলে কেউ ঘরের বাইরে যেতে চান না৷ দেখুন ছবিঘরে...
বরফে ঢাকা ফুসবল টেবিল
এই ফুসবল টেবিল নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকে গ্রামের শিশুরা৷ কিন্তু মৌসুমের প্রথম তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে ‘মাঠ’৷ খেলা আপাতত বন্ধ৷
বরফের ওপরে কাপড় শুকানো
চারিদিকে বরফ৷ কিন্তু আকাশে তো সূর্য হেসেছে! তাই ঘরে ধোয়া কাপড়গুলো তারে ঝুলিয়ে শুকাতে দিচ্ছেন এক নারী৷
রুটির উষ্ণতায়
গ্রামের মানুষেরা মূলত আমাজিঘ উপজাতির৷ রুটি তাদের প্রধান খাবার৷ হাড় কাঁপানো শীতে রুটি ভাজতে ভাজতে আগুন পোহানোও সেরে নিচ্ছেন এক নারী৷
তৃণভোজীদের অসহায়ত্ব
উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় অ্যাটলাসের ওপরের এই গ্রামটিতে শীতের সময় সব তৃণভোজী প্রাণীর প্রাণ বাঁচানোই মুশকিল৷ ঘাস, গাছ সব ঢেকে যায় বরফে৷ তৃণভোজীরা খাবে কী! এক পাল ভেড়ার আহারের সন্ধানে তাই বরফ-রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন এক গ্রামবাসী৷
বৃষ্টির অপেক্ষায়
শীতে তো ফসল ফলানোর উপায় থাকেই না, গ্রীষ্মেও খরার কারণে বিপদে পড়েন কৃষিজীবীরা৷ তাই আলহাসানের (ওপরের ছবি) মতো অনেকেই দিন গোণেন আর ভাবেন, কবে আবার বর্ষা আসবে, বৃষ্টি হবে, বাঁধে পানি জমিয়ে শবজি আর ফল চাষ শুরু করা যাবে৷
গ্রামেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
ইহসান যে বাড়িতে থাকে সেখানে কিন্তু সোলার প্যানেল আছে৷ তাই বিদ্যুতের আলোয় স্কুলের পড়া পড়তে পারে, রুম হিটারের উত্তাপও নিতে পারে সে৷ বাড়ির কাছেরই এক স্কুলে পড়ে ইহসান৷
আকলি ফাতিমার প্রার্থনা
বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন আর লাঠি ছাড়া চলতে পারেন না আকলি ফাতিমা৷ শীতের সময় ঘরের ভেতরেই চলে হাঁটা-চলা৷ দেয়ালের ফাঁকে ইট বা নায়লনের ব্যাগ গুঁজে দিলেও বৃষ্টি বা বরফগলা পানি চলে আসে ঘরে৷ আকলি ফাতিমা বলেন, ‘‘ প্রত্যেক বছরই আমাদের জীবনে এমন একটা সময় আসে৷ তখন আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর করার কিছু থাকে না৷’