‘‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া’’
১ এপ্রিল ২০১২সিরিয়ার বান্ধবরা যে আপাতত বিদ্রোহীদের অস্ত্রদানের মতো গুরুতর পদক্ষেপ নেবে না, তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে৷ বিরোধীপক্ষের সিরীয় জাতীয় পরিষদ বা এসএনসি নিজেরাই বলছে, অস্ত্র সরবরাহ তাদের মনমতো পন্থা নয়, কেননা এ'তে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি আরো বাড়বে৷ অপরদিকে যেখানে সিরিয়ার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে তারা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না৷ তাই এসএনসি ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি' বা এফএসএ'র জন্য বেতার সরঞ্জাম ও সম্ভব হলে অস্ত্র প্রার্থনা করেছে৷ তবে সিরিয়ার বান্ধব গোষ্ঠীতে একমাত্র সৌদি আরব ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলি অস্ত্রদান অবধি যেতে রাজি৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়িপ এর্দোয়ান ইস্তানবুলে দাবি করেছেন যে, ‘‘সিরীয় জনগণের বৈধ দাবিগুলি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে৷'' মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তার বক্তৃতায় আসাদ'কে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করতে, নয়তো ‘‘গুরুতর ফলশ্রুতির'' মুখোমুখি হবার ভয় দেখিয়েছেন৷
এসএনসি'কে পূর্ণ স্বীকৃতি দেবার ব্যাপারেও যে খুব বেশি প্রগতি অর্জিত হয়েছে, এমন নয়৷ প্রথমত এসএনসি এখনো বিভিন্ন গোষ্ঠী সংক্রান্ত কাজিয়ায় জড়িত৷ এছাড়া পরিষদে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের প্রভাব সম্পর্কেও পশ্চিমা বিশ্বের সন্দেহ আছে৷ ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালাঁ জুপে এবার ইস্তানবুল থেকে বলেছেন যে, ‘‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া'' সম্মেলন সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল'কে তাদের প্রধান সংলাপ-সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে৷ যুগপৎ বাদবাকি বিরোধী গোষ্ঠীগুলির প্রতি এসএনসি'র নেতৃত্বে একত্রিত হবার আহ্বান জানানো হবে৷
এই অবকাশে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি বাগদাদ থেকে একটি অত্যন্ত জোরালো মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেছেন যে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ'এর সরকারের পতন ঘটবে না এবং বলপূর্বকভাবে তাকে অপসারণের প্রচেষ্টা সারা এলাকাটিতে সংকট আরো ঘনীভূত করবে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্রপ্রদানের বিরুদ্ধেও মতপ্রকাশ করেছেন৷ কাতার এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলির মনোভাব সম্পর্কে মালিকি পরোক্ষভাবে বলেন, তারা আগুন নেভানোর পরিবর্তে অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে৷
অপরদিকে সিরিয়ায় রক্তপাত থেমে নেই৷ বিরোধীদের বিবরণ অনুযায়ী রবিবার প্রধানত উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্ব সিরিয়ায় বিভিন্ন সংঘর্ষে ৮ জন সরকারি সৈন্য সহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী/রয়টার্স/এপি/ এএফপি
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম