ফ্রান্সে রক্ষণশীলরা এগিয়ে
২৩ মার্চ ২০১৫ফ্রান্সকে যাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নেই দেখতে চান তাঁদের এবং ফ্রান্সে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য সে দেশের স্থানীয় নির্বাচনের প্রথম পর্ব সুখবরই বয়ে এনেছে৷ রোববার অনুষ্ঠিত এ পর্বের ভোটে ক্ষমতাসীন বামপন্থিরা ভালো করতে পারেনি৷ তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন এবং বেকারত্বের হার দ্রুত কমাতে ব্যর্থ ওলঁদ সরকারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার ইঙ্গিত দিলেও জনগণ চরম ডানপন্থিদের পক্ষেও রায় দেয়নি৷ রোববার মোট ৯৮টি প্রশাসনিক অঞ্চলে ভোট হয়েছে৷ তাতে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট ৩২ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে৷ তারপরই রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অভিবাসবিরোধী চরম ডানপন্থিদের ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন), তারা পেয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ ভাগ ভোট৷ ফ্রঁসোয়া ওলঁদের নেতৃত্বাধীন বামপন্থিদের জোট এ পর্বে শতকরা ২২ ভাগ ভোট পেয়েছে৷
নির্বাচনের আগের জনমত জরিপে চরম ডানপন্থিরা বেশ এগিয়ে ছিল৷ জরিপ অনুযায়ী তাদের অন্তত ৩০ ভাগ ভোট পাওয়ার কথা৷ প্রথম পর্বে তার চেয়ে অনেক কম ভোট পেলেও এফএন তাতে হতাশা বা অসন্তোষ প্রকাশ করেনি৷ বরং তাদের নেত্রী মারিঁ লে পেন বলেছেন, ‘‘ন্যাশনাল ফ্রন্টের এমন বিপুল ভোট পাওয়ার মানে হচ্ছে, ফ্রান্সের জনগণ তাদের স্বাধীনতাকে পুনরাবিষ্কার করতে চায়৷ তারা চায়, ফ্রান্সকে যারা হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছে তাঁদের সরিয়ে নতুন রাজনৈতিক প্রজন্মকে ক্ষমতায় আনতে৷''
নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোট হবে আগামী ২৯ মার্চ৷ জরিপ অনুযায়ী, সেখানেও এফএন-এর জয় পাওয়ার কথা৷ ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ২০১৭ সালে৷ সেই নির্বাচনে এফএন-এর প্রার্থী হতে পারেন মারিঁ লে পেন৷
তবে প্রথম পর্বের নির্বাচন শেষে এফএন-বিরোধীরাই শক্ত অবস্থানে৷ দ্বিতীয় পর্ব শেষে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করবে সারকোজির ইউনিয়ন ফর পপুলার মুভমেন্ট (ইউএমপি)৷ তবে সারকোজি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, স্থানীয় বা জাতীয় কোনো পর্যায়েই এফএন-এর সঙ্গে তাঁরা জোট গড়বেন না৷
এসিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি)