ফোনে বাইডেন-মোদী কথা
১৮ নভেম্বর ২০২০মার্কিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করার পরেই জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন মোদী। মোদী-বাইডেনের ফোনে আলোচনার বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামেরিকাও। মোদী জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে সামরিক এবং অন্যান্য সম্পর্ক নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। বাইডেনের পাশাপাশি কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানানোর কথা বলেছেন মোদী।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ছিল। অনেকেরই অভিমত, ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনের আগে শেষবার ভারতে সফর করেছিলেন ট্রাম্প। গুজরাতে 'নমস্তে ট্রাম্প' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মোদী। অন্য দিকে, মোদী যখন অ্যামেরিকায় গিয়েছিলেন, তখন ট্রাম্প আয়োজন করেছিলেন 'হাউডি মোদী'। গুজরাতের সভা থেকে মোদী মার্কিন ইন্দো-অ্যামেরিকান ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের জন্য ভোটভিক্ষা করেছিলেন। ফলে জো বাইডেনের জয়ের পরে অনেকেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন।
মোদী অবশ্য কালক্ষেপ করেননি। বাইডেনের জয়ের পরেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তারপরেই মঙ্গলবার রাতের ফোন কল। মোদী লিখেছেন, ''দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন, সামরিক সুরক্ষা, করোনা পরিস্থিতি, অর্থনীতি-- সমস্ত বিষয়েই কথা হয়েছে।''
ফোন কলের কথা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামেরিকাও। সেখানে বলা হয়েছে ''মোদীর সঙ্গে বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাইডেনের। দুই দেশের বাইরের এবং ভিতরের সুরক্ষা, গণতন্ত্র, জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষা নিয়েও কথা হয়েছে দুইজনের।''
মোদী জানিয়েছেন, কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। অ্যামেরিকায় বসবাসকারী ইন্দো-মার্কিনদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটরা ভারতের কাছে 'স্ট্রেঞ্জার' নয়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাইডেনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তারপরেই রাতে বাইডেনের ফোন আসে।
ট্রাম্পের আমলে চীন সংঘাতে অ্যামেরিকাকে পাশে পেয়েছে ভারত। বাইডেনের আমলেও অ্যামেরিকা সে ভাবেই ভারতের পাশে থাকবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)