ফোনে আড়ি পাতা
৩১ অক্টোবর ২০১৩এদিকে ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরকে দোষারোপ করেই যাচ্ছে৷ মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কখনো বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে, কখনো বলছেন, সহযোগী দেশগুলোর সাথে সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে তারা এ কাজ করেছেন৷
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে, জার্মান ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা বিএনডি যুক্তরাষ্ট্রের উপর নজরদারি করেছে৷ ২০০৮ সালে ৩০০ মার্কিন নাগরিকের ফোনে বিএনডি আড়ি পেতেছে, বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট৷
এদিকে বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা৷ সেখানেও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা৷ এনএসএ প্রধান জেনারেল কিথ আলেকজান্ডার জানান, প্রতিটি দেশই একে অপরের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে৷ তাই সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে নতুন ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের অংশীদারিত্ব আসলেই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি৷
ব্লুমবার্গ মিডিয়া গ্রুপের একটি সংবাদ সম্মেলনে আলেকজান্ডার জানান, ফ্রান্স, স্পেন ও ইটালিতে নজরদারি করতে এনএসএ ৭ কোটি ফোন কলে আড়ি পেতেছে বলে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল৷ বাস্তবে সামরিক সহায়তার কারণে প্রত্যেকটি দেশ একে অপরকে সহায়তার জন্য এই নজরদারি করেছে বলে জানান তিনি৷ দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এ কাজ করেছেন বলে জানান আলেকজান্ডার৷
ওয়াশিংটন পোস্টের নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য ইয়াহু আর গুগলের তথ্য ভান্ডারে নজরদারি করেছে এনএসএ৷ এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ কাজ করেছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি৷
২০১৩ সালের জানুয়ারির এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলছে, ৩০ দিনে ইমেল, অডিও ও ভিডিও কন্টেন্ট থেকে ১৮ কোটি ১০ লাখ রেকর্ড সংগ্রহ করেছে এনএসএ৷
এদিকে, ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগুল এর আইন বিভাগের প্রধান ডেভিড ড্রুমন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এনএসএ তাদের লিংক ভেঙে তথ্যকেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে৷ কেননা তারা সরকারকে কোনো তথ্য দেননি এবং তাদের লিংকে প্রবেশের কোনো সুযোগও দেননি৷
এনএসএ প্রধান আলোকজান্ডার যথারীতি এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন৷ বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে অবশ্য এনএসএ জানিয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের ফোন বা মেলে নজরদারি করেছে তারা, তবে তা দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই করা হয়েছে৷
অন্যদিকে, জাতিসংঘ বলছে, ভবিষ্যতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ধরনের গোপন নজরদারি চালাবে না বলে আশ্বাস পেয়েছে তারা৷
এপিবি/ডেজএইচ (এপি,এএফপি,রয়টার্স)