1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে অনেকে

হারুন উর রশিদ স্বপন, ঢাকা ২২ মে ২০১৩

বাংলাদেশে ফেসবুক এবং টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিরোধিতা করছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং এই মাধ্যম ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/18c0a
--- DW-Grafik: Per Sander 2011_01_19_facebook_twitter_verbot.psd

‘আপত্তিকর' মন্তব্য বা ছবি যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ না পায়, সে জন্য তা নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷ তার জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ ইন্টারনেট গেটওয়েতে নজরদারির জন্য ফিল্টারিং ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি৷ এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে দরপত্রও আহ্বান করা হয়৷ বাংলাদেশে ইন্টারনেট গেটওয়ে মোট ২৯টি৷

DW Bengali service took interview of Zakaria Swapan. He is a Wi-max Consultant for Cisco Systems. Keywords: Zakaria Swapan, Bangladesh, IT expert Declaration: Hiermit erkläre ich, Zakaria Swapan, mich damit einverstanden, daß die Deutsche Welle mein eigenes, als Anhang verschicktes, Bild für ihre Websiten verwenden darf. Arafatul Islam Deutsche Welle, Bengali department Office Phone: 4708
তথ্য প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপনছবি: Zakaria Swapan

কিন্তু ফেসবুক বা টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ন্ত্রণ বা ফিল্টারিং-এর বিরোধিতা করেছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, এটা সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ৷ তিনি বলেন, একের পর এক এই নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবইে গ্রহণযোগ্য নয়৷ এর আগে টেলিফোনে আড়িপাতার ব্যবস্থা চালু হয়েছে৷ এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একই ব্যবস্থার শিকার হতে যাচ্ছে৷

তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকার আপত্তিকর বলতে কী বোঝাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়৷ এই ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিকসহ নানা ধরণের হয়ারনির কাজে ব্যবহার হতে পারে৷ কারণ যা সরকার বা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পছন্দ করবেনা, তাই তাদের কাছে আপত্তিকর মনে হবে৷ তাহলে তো আর নাগরিকরা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন না৷ আর মনে রাখতে হবে, সরকার বিরোধিতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহ এক নয়৷''

জাকারিয়া স্বপন জানান, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আছে৷ কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সে সব দেশসহ সারা পৃথিবীতে নিন্দিত৷ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশ সেইসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, তা ভাবা যায়না৷ তিনি বলেন, ‘‘আইনগতভাবে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যায়৷ যাকে বলে ল-ফুল ইন্টারসেপশান৷ সারা পৃথিবীতেই সে ব্যবস্থা আছে৷ কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত যোপন তথ্য ব্যক্তিগত মাতামত ফিল্টার করা বা তা দেখার ব্যবস্থা করা আইনসম্মত নয়৷''

ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার ফাল্গুনী দত্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যক্তিগত বা গ্রুপ ভিত্তিক ভাবের আদান প্রদানের একটি উপায়৷ তিনি চাননা সেটার ওপর কোন ধরণের হস্তক্ষেপ হোক বা তা অযাচিতভাবে দেখা হোক৷ তাঁর মতে, এসব করা হলে মানুষ তো আর মন খুলে কথা বলতে পারবেনা৷ তাঁর ধারণা, এ ধরণের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে বাংলাদেশে ফেসবুক এবং টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে৷

এদিকে বাংলাদেশে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা৷ আর তাতে দেখা যায় অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণ বিরোধী৷ তাঁরা মনে করেন, এই মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে তেমন সুবিধা করা যায়না৷ কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যারা ব্যবহার করেন, তারা বেশ সচেতন৷ তাই সরকারকে এ নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷

আর সরকার বলছে, রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় – এমন ধরণের মন্তব্য, ছবি বা কোনো উপাদান যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রকাশ না পায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য