ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ
১১ মে ২০০৯সোমবার তেল আভিভ বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পোপ বলেন, বিভিন্ন মতপার্থক্য দূর করতে ইসরায়েলী এবং ফিলিস্তিনিদের সকল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে৷ বিমানবন্দরে পোপকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস এবং প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানইয়াহু৷ বিস্তারিত জানাচ্ছেন আবদুস সাত্তার৷
তেল আভিভের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পোঁছার পর পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ইংরেজি ভাষায় ভাষণ দেন৷ তিনি বলেন, ইসরায়েলে আমার অবস্থানকালে আমি সুযোগ লাভ করব নিহত যাট লাখ ইহুদীর প্রতি সম্মান জানানোর এবং আমি প্রার্থনা করব যে, মানবজাতি যেন আর কখনো এ ধরনের নিষ্ঠুর অপরাধ না দেখে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনো তীব্র ইহুদী-বিদ্বেষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে৷ এই বিদ্বেষ যেখানেই দেখা যাবে সেখানেই এর মোকাবেলার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে৷
পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট বলেন, অসংখ্য মানুষের আশা- আকাংখা নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শান্তি আলোচনার ওপর৷ এই আলোচনাই বড় বড় সব সমস্যার সমাধান করতে পারে৷ তাঁর মতে, পরিশেষে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন-এই দুটি রাষ্ট্রই পৃথিবীর মানচিত্রে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবে৷
জর্ডানের একটি বিমানে করে তেল আভিভ বিমানবন্দরে পৌঁছালে পোপকে লাল গালিচার সম্বর্ধনা জানানো হয়৷ বেনেডিক্টকে সেখানে স্বাগত জানান আধ্যাত্মিক প্রতিনিধিরাও৷ প্রেসিডেন্ট পেরেস বলেন, ইসরায়েল পোপকে স্বাগত জানাচ্ছে , কারণ তিনি শান্তির পথ হয়তো প্রশস্ত করতে পারেন৷
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইসরায়েলী বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে বেনেডিক্টকে নিয়ে যাওয়া হয় জেরুসালেমে৷ এর আগে ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন বেনেডিক্ট-এর পূর্বসূরি পোপ দ্বিতীয় জন পল৷ তিনি ইসরায়েল সফর করেন দুই হাজার সালের মার্চ মাসে৷
সোমবার বিকেলে জেরুসালেমে তাঁর কর্মসূচির মধ্যে ছিল হলকস্টের শিকার মানুষদের প্রতি নিবেদিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভ ইয়াদ ভাশেম মিউজিয়াম পরিদর্শন৷
সোমবার জর্ডান থেকে ইসরায়েলের পথে রওনা হওয়ার আগে তিনি সহিষ্ণুতা দেখানোর জন্য খৃষ্টান ও মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান৷
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল পোপ এর ইসরায়েল সফরকে বিশেষ ইতিবাচক বলে মূল্যায়ন করেছেন৷ বার্লিনে সরকারী মূখপাত্র উলরিশ ভিলহেল্ম এ কথা বলেন৷
প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক