1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফাঁসির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ

Sanjiv Burman২৫ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের প্রতি ফাঁসি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ অন্যদিকে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির পরের প্রতিক্রিয়ার জন্য পাকিস্তানকে এক হাত নিয়েছেন পাকিস্তানেরই মানবাধিকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গীর৷

https://p.dw.com/p/1HCOH
Symbolbild Todesstrafe Galgen
ছবি: picture-alliance/dpa

জাতিসংঘ ফাঁসির বিরুদ্ধে৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকেই মৃত্যুদণ্ডকে ‘অমানবিক' আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের আইন থেকে ফাঁসি বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ আহ্বান জানান৷

এমন বিবৃতি আগেও দিয়েছে জাতিসংঘ৷ তাই এবারের বিবৃতিতে অতীতের বিবৃতিগুলোর রেশ টেনেই বলা হয়, ‘‘মৃত্যুদণ্ডের মতো অমানবিক কাজ বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি৷''

বাংলাদেশে সাধারণ খুনের অপরাধেও ফাঁসি হয়ে থাকে৷ কয়েকদিন আগেই মা-বাবাকে হত্যার দায়ে এক কিশোরীর বিরুদ্ধেও ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত৷

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করা মানুষদের ফাঁসিকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য বলেও মনে করেন অনেকে৷ তাঁদের মতে, একাত্তরের ইতিহাস, বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ইতিহাস৷ রাষ্টের অভ্যুদয়ের বিরোধিতার নামে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশ নিয়েছেন তাদের বিচার করা সুবিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিই এক বড় পদক্ষেপ৷

তবে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনাও আছে৷ সমালোচনা করতে গিয়ে কোনো কোনো মহল ক্ষুব্ধও হয়েছেন৷ সম্প্রতি সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসিতে ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করে পাকিস্তান৷ বাংলাদেশ সরকার তীব্রভাবে তাদের প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে তা জানানোও হয়েছে৷

এবার একই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেছেন সে দেশের মানবাধিকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গীর ৷

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার ও সরকার সংশ্লিষ্টরা যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাকে ‘দ্বৈতনীতি' হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি৷

পাকিস্তানের এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে আসমা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘‘(পাকিস্তান) সরকার এই আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করল যে, বাংলাদেশে যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারা আসলে রাজনৈতিক চর ছিল এবং তারা পাকিস্তানের স্বার্থেই কাজ করছিল৷''

আসমা জাহাঙ্গীর জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানে অসংখ্য সাধারণ অপরাধীর ফাঁসি হলেও জঙ্গিদের কেন ফাঁসি হয়না? সৌদি আরবে প্রায় নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানের নাগরিকদের ফাঁসি হয়, অথচ তখন পাকিস্তান সরকার কেন নীরব থাকে?

তবে পাকিস্তান সরকার আসমা জাহাঙ্গীরের এসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি৷

এদিকে বাংলাদেশে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানের একটি চিঠি নিয়ে৷ চিঠিটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখেছিলেন ইমরান৷ ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান চিঠিটি লিখেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর না করার অনুরোধ জানিয়ে৷

চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, ‘‘সাজা স্থগিত করা হলে তা শুধু আমাদের এ অঞ্চলের জন্যই নয়, বরং পুরো বিশ্বেই শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে৷'' সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর প্রকাশিত হয়েছে ইমরান খানের এই চিঠি৷

ইমরান খান চিঠি লেখার পরও ফাঁসি কার্যকর হয়েছে৷ উপরন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর জন্য ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারই পড়েছেন তোপের মুখে৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান