প্রেমিক প্রেমিকা সেজে পুরাতন বাটে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১স্কটল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে সেন্ট এ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়৷ আজও মনে আছে, প্রিন্স উইলিয়াম যখন সেখানে পড়তে যান, তখনই ধাঁধা লেগেছিল, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ ছেড়ে উনি সেন্ট এ্যান্ড্রুস'এ কেন? পরে বুঝলাম, রাজা-রাজড়ারা কোথায় পড়তে যান, তারও পিছনে থাকে গভীর রাজনীতি৷ তবে মুখচোরা, মা-মরা রাজপুত্রটিকে সেন্ট এ্যান্ড্রুসে যেন বেশ খুশিই মনে হয়েছিল৷ ব্রিটিশ - এবং জার্মান টেলিভিশনেও - তখন নিত্যই দেখাচ্ছে এবং শোনাচ্ছে, সহপাঠীদের মধ্যে একটি কাঁচাখেকো রাজপুত্তুর থাকার ফলে বেচারা সহপাঠিনীদের কি দুরবস্থা! হাজার হোক, লাইব্রেরিতে বই ঘাঁটতে ঘাঁটতেই যদি এক রাজপুত্তুরের সঙ্গে চোখের, কিংবা মনের মিলন হয়ে যায়, তা'হলে রূপকথার গল্পে না গিয়ে, সোজা সেন্ট এ্যান্ড্রুসে নাম লেখালেই তো হয়৷
নাম লিখিয়েছিলেন কেট মিডলটন'ও, তিনি আবার উইলিয়ামের চেয়ে বয়সে এক বছরের বড়৷ দু'জনেই তখন শিল্পকলার ইতিহাস পড়ছেন৷ পরে দু'জনকে সেন্ট এ্যান্ড্রুস শহরের প্রান্তে গোটা একটা বাড়ি নিতে দেখা যায়৷ তারপর না জানি কতো বছর ধরে ‘‘ওয়েটি কেটি'' বা অপেক্ষমানা কেটের ইতিহাস তো সকলেই জানেন৷ উইলিয়াম সব কিছুই বলেন, শুধু এক ‘‘তুমি কি আমার মহিষী হইবে?'' কথাগুলি ছাড়া৷ ঐ নিয়ে নাকি একবার কেট গোঁসা করে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন৷ যা হোক, সে সব ফাঁড়া কেটেছে৷ সেন্ট এ্যান্ড্রুস থেকে শুরু সুদীর্ঘ যাত্রাপথের আগামী ২৯শে এপ্রিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এ্যাবিতে সমাপ্তি৷
কিন্তু দশ বছর আগের সেই সেন্ট এ্যান্ড্রুস? ‘‘এ যেন বাড়ি ফেরা,'' বলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম৷ কেট লাল স্যুট পরে, উইলিয়ামের পরণে কালো স্যুট৷ তাদের দেখতে সেন্ট এ্যান্ড্রুসের রাস্তায় শত শত মানুষ৷ ও হ্যাঁ, দিনটা ছিল আবার সেন্ট এ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী৷ তার চেয়েও বড় কথা, এ'টি ছিল উইলিয়াম এবং কেটের যুগল হিসেবে প্রথম সরকারি সফর৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম