এগিয়ে মেয়েরা
৮ মার্চ ২০১২প্রাথমিক শিক্ষা মানে প্রথম শ্রেণী থেকে ধরলে, বাংলাদেশে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি৷ গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানান, এক্ষেত্রে মেয়েরা শতকরা ১১ ভাগ এগিয়ে আছে৷ কিন্তু, মাধ্যমিক পার হওয়ার আগেই এই ১১ ভাগ ঝরে পড়ে৷ তখন ছেলে আর মেয়ে সমান হয়ে যায়৷ আর তারপর শুরু হয় পিছিয়ে পড়া৷ তারা গবেষণায় দেখেছেন, ঝরে পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য তালিকাভূক্ত মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪০ ভাগ উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন৷
রাশেদা কে চৌধুরী জানান, এই ঝরে পড়ার কারণ এখন আর অর্থনৈতিক বলা যাবে না৷ কারণ, মেয়েদের জন্য উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধা রয়েছে৷ তাই এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরপত্তা এবং নারী শিক্ষকের অভাবই এর জন্য দায়ী৷ তিনি বলেন, শিক্ষার একটি উপযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে যা ভালো দিক৷ কিন্তু এখনো অনেক পরিবার মনে করে, শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে তা ছেলেদের জন্যই করা উচিত৷ কারণ তা লাভজনক৷
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এখন দেশের বলতে গেলে শতভাগ শিশুই স্কুলে যায়, তা যেমন আশার সঞ্চার করে৷ তেমনি মেয়েদের এই ঝরে পড়া আশাহত করে৷ এজন্য এখন প্রয়োজন মূলত পারিবারিক এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির আরো পরিবর্তন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ