1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রত্যর্পণ বিল স্থগিত করলো হংকং

১৫ জুন ২০১৯

শহরটির নেতা ক্যারি লাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বিলটি পাসের উদ্যোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে৷

https://p.dw.com/p/3KW8w
Hongkong Protest gegen Auslieferungen nach China | Plakat Carrie Lam, Regierungschefin
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Yu

১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে শহরের দায়িত্ব চীনের কাছে হস্তান্তরের পর প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভটিই ছিল সবচেয়ে বড়৷

শহরটির নেতা ক্যারি লাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বিলটি পাসের উদ্যোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে৷ ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে শহরের দায়িত্ব চীনের কাছে হস্তান্তরের পর প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভটিই ছিল সবচেয়ে বড়৷

শনিবার বেইজিংপন্থি আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আইনশৃংখলার দিকে মনোযোগী হতে হবে৷ আমরা আপাতত বিলটি পাসের উদ্যোগ স্থগিত রেখে এটি নিয়ে আবার চিন্তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আইন পরিষদে আবার এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে৷''

বিলটি নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷ তবে এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি৷

বেইজিংয়ের প্রতি অবিশ্বাস

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি৷ ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল৷

প্রসঙ্গত, গতবছরের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত এই বিলটি তৈরি করা হয়৷ তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দি বিনিময়ের কোন চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না৷

প্রস্তাবিত বিলে এরকম পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন অপরাধীকে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়েছে৷ কিন্তু চীন এই আইনের সুবিধা নিয়ে হংকংয়ের বাসিন্দাদের উপর খবরদারি বাড়াতে পারে বলে সন্দেহ থাকায় বিষয়টি সেখানে এক রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে৷ ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাধারণ বাসিন্দারা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

পাশাপাশি তাইওয়ানও জানিয়েছে যে সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা কেননা এটি এমন এক উদাহরণ সৃষ্টি করবে যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে৷

হংকংয়ের সরকার বলছে, এমন চুক্তি পাস না হলে শহরটি পলাতক অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে পারে৷ কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এই আইন পাস হলে স্বায়ত্বশাসিত হংকংয়ের ওপর বেইজিংয়ের কর্তৃত্ব আরো বাড়বে৷

এডিকে/আরআর (এএফপি, রয়টার্স)