1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হয় এমন উদ্যোগ নেয়া উচিত নয়'

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়, এমন কোনো উদ্যোগ কোনো রাষ্ট্রের নেয়া উচিত নয়৷ ভারতের সঙ্গে পানি বন্টন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন৷

https://p.dw.com/p/3DWH1
বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীছবি: DW/B. Knight

ডয়চে ভেলে'র প্রধান পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট মেলিন্ডা ক্রেন-রোওর্সের সঞ্চালনায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড সিকিউরিটি: টু হট টু হ্যান্ডেল' আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, ভারত ও চীন উজানের দেশ৷ তাই তারা যদি কখনো বাঁধ তৈরি করে, বা পানি প্রবাহের গতিপথ পাল্টে দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

‘‘গঙ্গায় পানি বন্টন নিয়ে আমরা ১৯৯৬ সালে চুক্তি করেছি৷ ভারত থেকে ৫৪টি নদীর পানি আসে বাংলাদেশে৷ আমরা সেগুলোর পানি বন্টন নিয়েও আলোচনা করছি,'' বলেন শেখ হাসিনা৷

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব মানুষের কথা চিন্তা করা উচিত৷ পানির প্রবাহ যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তাই বাঁধ দেয়া বা পানির গতিপথ পরিবর্তনের মতো এমন কোনো উদ্যোগ নেয়া উচিত নয়, যাতে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হয়৷''

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজস্ব তহবিল গঠন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই, কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটিই বাংলাদেশ৷

এ বিষয়ে বড় অর্থনীতির রাষ্ট্রগুলোর উদাসীনতা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ ‘‘কপ-১৫ থেকে শুধু উদ্যোগের কথাই শুনছি৷ কিছু দেখছি না,'' বলেন শেখ হাসিনা৷ ‘‘আমি কপ-১৫ থেকে ফিরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তহবিল গঠন করি৷ পুরো উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করেছি৷''

লবণাক্ততা নিরসন ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ব্যাপক পরিসরে ড্রেজিং করার কথাও বলেন তিনি৷ একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে শস্য উৎপাদন সংক্রান্ত গবেষণায়ও বিনিয়োগ করার কথা বলেন শেখ হাসিনা৷

তিনি বলেন, ‘‘আমাকে দেশের উন্নয়ন করতে হবে৷ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিল্পায়ন৷ কিন্তু তারপরও কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি৷ কিন্তু উন্নত দেশগুলো কী করেছে? তারা তো নিজেদের উন্নয়ন করে নিয়েছে৷ এখন তাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরো উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসা উচিত৷''

55. Münchner Sicherheitskonferenz: John Kerry
বক্তব্য রাখছেন জন কেরিছবি: DW/B. Knight

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সারাবিশ্ব কার্যত কিছুই করছে না, আলোচনায় এমন বক্তব্য ছিল আসলে সবারই৷ এ সময় বাংলাদেশসহ যেসব দেশ নিজস্ব উপায়ে ও উদ্যোগে কাজ করছে তাদের স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি বক্তব্য রাখেন দর্শকসারি থেকে৷ তিনি বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ এই শতাব্দীর শেষে আমরা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছি৷ আমি ধন্যবাদ জানাই, যেসব দেশ তাদের নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছে৷''

আলোচকরা এবারের সম্মেলনের একেবারে শেষ দিকে এসে জলবায়ু নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা আয়োজনের সমালোচনা করেন৷ বলেন, এই আলোচনা সবচেয়ে গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল৷

শেখ হাসিনা ছাড়া প্যানেলে আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনে এরিকেসন সোরাইডে, কেনিয়ার কেবিনেট সেক্রেটারি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স মোনিকা জুমা, যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর শেলডন হোয়াইটহাউস ও গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বানি ম্যাকডায়ারমিড৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য