1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিসে অটোরিক্সা

৩১ আগস্ট ২০১৩

প্যারিসের রাস্তায় রাস্তায় এখন দেখা মিলছে অটোরিক্সার৷ পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই যান অবশ্য ট্র্যাফিক পুলিশদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবে বেকারদের ক্ষেত্রে এই ‘বেবি-ট্যাক্সি’ হয়ে উঠছে আর্শীবাদ৷

https://p.dw.com/p/19ZCd
Tourists ask a "tuk tuk" taxi driver for directions along Khao San Road in Bangkok July 13, 2012. Last year Thailand saw a record 19.10 million tourists visiting the country and this year the Tourism Authority of Thailand is looking to break that record. But headlines over unsolved crimes against tourists, taxi scams and coastal pollution have left many wondering whether Thailand is neglecting its valuable tourism sector in exchange for short term gain. Picture taken July 13, 2012. REUTERS/Sukree Sukplang (THAILAND - Tags: CRIME LAW TRAVEL)
ছবি: Reuters

ঢাকা-কলকাতা থেকে ব্যাংকক – এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের রাস্তাতেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে অটোরিক্সা৷ শহরের ভেতর চলাচলের জন্য এটা অন্যতম সহজ একটা মাধ্যম৷ কিন্তু ইউরোপের কোনো দেশে যদি বাস, ট্রেন, গাড়ির ভিড়ে হঠাৎ চোখে পড়ে একটা অটোরিক্সা, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন?

হ্যাঁ, সেই অবাক করার বিষয়টিই এখন ঘটেছে ফ্রান্সে৷ প্যারিসের পর্যটন এলাকাগুলোতে এখন অটোরিক্সা বা বেবি-ট্যাক্সির ভিড় নজরে পড়ছে প্রায়ই৷ এমনকি কখনো-সখনো রিক্সারও দেখা মিলছে৷

২০১১ সালে ফ্রান্সের রাজপথে প্রথম দেখা গিয়েছিল অটোরিক্সা, যাকে সেখানে অবশ্য ডাকা হচ্ছে ‘টুক টুক' নামে৷ আজ সে সংখ্যাটা অনেক বেশি, প্রায় ৫০টির মতো৷ আইফেল টাওয়ার, ‘লুভরে' জাদুঘরের মতো পর্যটন এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি নজরে পড়বে এগুলো৷ এশিয়ার মতো বেশিরভাগ অটোরিক্সার রং প্যারিসেও বেশ উজ্জ্বল৷

অর্থনৈতিক মন্দা আর বেকারত্বের কারণে ফ্রান্সে এই ‘টুক টুক'-এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ থাইল্যান্ড থেকে একটা অটোরিক্সা আমদানি করতে খরচ হয় প্রায় ৯ হাজার ইউরো৷ যদিও এশিয়ার দেশগুলোতে ট্যাক্সি ক্যাবের চেয়ে অটোরিক্সার ভাড়া কম, তবুও প্যারিসের পর্যটন এলাকায় ক্যাবের চেয়ে বেশি ভাড়াতেই অটোরিক্সায় সফর করছেন টুরিস্টরা৷ এ জন্য গড়ে অন্তত ২০ ইউরো খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের৷

প্যারিসের এক অটোরিক্সা-চালক বললেন, সব জায়গায় বেকারত্ব, তাই তাঁরা চেষ্টা করছেন, পর্যটকদের ভালো লাগে এমন কিছু করতে এবং সেইসাথে কিছু উপার্জনই করতে৷ তবে সুড়ঙ্গ পথে প্রায়ই বিমা বা রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাগজ-পত্রের জন্য পুলিশের হাতে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ তুলছেন চালকরা৷

এমনই এক চালক সোফিনে জানালেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন নিজের একটা অটোরিক্সা হবে এবং দিনে ৯০ থেকে ১০০ ইউরো উপার্জন করবেন৷ কিন্তু প্রায়ই কাগজ-পত্রের জন্য ৩৫ থেকে ১৩৫ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা দিতে হচ্ছে তাঁকে৷ তাই স্বপ্ন পূরণে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে৷

পুলিশের ভাষ্য হলো, প্যারিসে এমনিতেই যানজট সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়৷ তার মধ্যে অটোরিক্সা গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি-কে একজন পুলিশ সদস্য জানান, যেহেতু ট্যাক্সির মতো এগুলো অনলাইন বা ফোনে আগে থেকে বুক করা যায় না, তাই প্রায়ই আইন লঙ্ঘন করেন চালকরা৷

ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী, কেবল নিবন্ধিত ট্যাক্সিগুলোই যাত্রী পরিবহন করতে পারে৷ প্যারিসের ট্র্যাফিক পুলিশ প্রধান মেজর ব্যার্না বোলার বললেন, সবক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগ সম্ভব হয় না৷ কেননা দুই চাকা আর তিন চাকার আইন ভিন্ন৷ লাইসেন্স আছে এমন যে কেউ অটোরিক্সা কিনতে এবং চালাতে পারেন বলে জানালেন তিনি৷

পর্যটকরা অবশ্য প্যারিসে এসে অটোরিক্সা বা ‘টুক টুক'-এ চড়তে পেরে রীতিমত খুশি!

এপিবি / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য